বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] নিকৃষ্টবর্গ। २० (t বৈশ্বা ; এবং যাহারা ক্ষীণজীবী ও কেবল দাসকার্য্যে পারগ তাহাদিগকে শূদ্র করিলেন। বিষ্ণুপুরাণ, মনুসংহিতা, মহাভারত এবং রামায়ণে লিখিত হইয়াছে যে, ব্রহ্মার মুখ হইতে ব্রাহ্মণ, বাহু হইতে ক্ষত্রিয়, উরু হইতে বৈশ্ব এবং পদ হইতে শূদ্রের উৎপত্তি হইয়াছে। বিষ্ণুপুরাণে কিছু প্রভেদ আছে, তথায় ক্ষত্রিয়ের উৎপত্তি-স্থান বক্ষ বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়াছে। যাহা হউক, তাহাতে আমাদের লাভ লোকসান কিছুই নাই । এতদ্ব্যতীত উক্ত গ্রন্থসমূহে ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্ব উক্তবিষয়সম্বন্ধে যাহা আছে, তাহ পরে বিবেচিত হইবে। বেদের পরবর্তী গ্রন্থে জাতি-উৎপত্তি-সম্বন্ধে, বায়ুপুরাণ ব্যতীত আর প্রায় সমস্ত গ্রন্থেই ব্রহ্মার মুখ, বাহু, উরু ও পদ মূলস্থান বলিয়া নির্দিষ্ট হইয়াছে, এবং আনুষঙ্গিক নানা ইতিহাসও কল্পিত হইয়াছে । ইতিহাস-মিশ্রিত পৌরাণিক তত্ত্ব ভেদ করা সহজ ব্যাপার নহে। তবে এই বোধ হয় যে, ঋগ্বেদোক্ত সৌদাস রাজার পৌরোহিত্য হেতু বশিষ্ঠ এবং বিশ্বামিত্রের মনোবিবাদকে অবলম্বন ভূমি করিয়া, যে সূত্রে পরবর্তী পৌরাণিক গ্রন্থে শাখাপ্রশাখাযুক্ত এক মহদ্ব্যাপারবিশিষ্ট বশিষ্ঠ ও বিশ্বামিত্রের কন্দোল বর্ণিত হইয়াছে, সেই সূত্রে এবং সেই নিয়মানুসারেই পুরুষ-সূক্তের উল্লিখিত পদ লইয়া জাত্যুৎপত্তি-বিষয়ক পৌরাণিক তত্ত্বমালা ও ইতিহাসাদি উদ্ভাবিত হইয়াছে । পূৰ্ব্ববাক্যের অনুসরণক্ৰমে শূদ্রগণের জন্মতত্ত্ব বিবেচিত হইতেছে। শূদ্র কাহারা ? আদিতে তাহারা কি ছিল, এই সিদ্ধান্তে কেহ কেহ ঢেঁকি, কুলা, ধুচনি শব্দ লইয়া