বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । [চতুর্থ وی را با প্রমাণ করেন যে উহা আৰ্য্যভাষা নহে, উহা পাহাড়ী জঙ্গলাজাতির ভাষা ; ঐ ভাষা যাহাঁদের ছিল, তাহারাই কালক্রমে শূদ্র নাম লইয়া হিন্দুসমাজে প্রবেশ করিয়াছে, এবং তজ্জন্যই তাহাদের আদি ভাষার ঐ সকল শব্দ হিন্দুভাষায় মিশ্রিত এবং লক্ষিত হয় । কি ভ্রান্তি ! এই সামান্য উপকরণে এই মহদ্বিষয় সিদ্ধান্ত করিতে আমি প্রস্তুত নহি । ভাষার আকৃতি এবং প্রকৃতি গত সাদৃশ্য ভিন্ন শব্দগত সাদৃশ্য অগ্রাহ । ভাষা নিরন্তর পরিবর্তনশীল, বিশেষতঃ যাহা অলিখিত এবং অসভ্য জাতির ভাষা, তাহ দুই তিন পুরুষে পরিবর্তনবশে নূতনশব্দময়ী হয়, এবং তাহার অনেক প্রাচীন শব্দের লোপ হয় । সৰ্ব্বাঙ্গসম্পন্ন দেবভাষা সংস্কৃতের যে সকল কথা বৈদিক সময়ে ব্যবহৃত হইয়াছে, পরবর্তী সংস্কৃতে তাহার অনেকের চিহ্নই পাওয়া যায় না। যখন সংস্কৃতেরই এই দশা, তখন অশিক্ষিত অসভ্য ভাষার সহ গুটিকত শব্দের সম্বন্ধমাত্র যোগ করিয়া ওরূপ সিদ্ধান্ত করা অন্যায়। দ্বিতীয়তঃ, জাতিদ্বয়ের সম্মিলন ব্যতীতও, অন্যপ্রকারে উভয়ের ভাষার কোন শব্দ এক হইতে অপরে নীত হওয়ার পক্ষে বিন্দুমাত্র অসম্ভবত। নাই, বস্তুতঃ তাহা আমরা চক্ষের উপরেই প্রত্যক্ষ করিতেছি। এতদ্ব্যতীত কেহ কেহ সাওতাল, কোল, ভীল প্রভৃতির প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া কহেন যে, ইহারাই এক সময়ে শূদ্রদের আদিপুরুষ ছিল । ইহার সারবত্তা স্থাপিত হইতে পারে, যদি এমন কোন প্রমাণ দিতে পারা যায় যে, ইহারা ভারতীয় আদিম অধিবাসীর বংশাবলী। কিন্তু সে প্রমাণ প্রদান সহজসাধ্য ব্যাপার নহে । অতঃপর