বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] ভূ-বৃত্তান্ত । \9S তৎপরে যমুনা হইতে চিত্ৰকূট পৰ্য্যন্ত পথের অবস্থা কিরূপ, তাহা কহিতেছেন B “রমোমাদবযুক্তশ্চ দাবৈশ্চৈব বিবর্জিত: ॥” পথ বালি বিছান হেতু মুখকর এবং দাবাগ্নি-রহিত। এতদপেক্ষা আর বিশেষ প্রমাণের আবশ্যক করে না । রাম-বিরহে দশরথের মৃত্যু হইলে, ভরতকে মাতুলালয় হইতে আনয়নার্থে অযোধ্যা হইতে যে দূত প্রেরিত হয়, তাহার গমন-প্রসঙ্গে নিম্নলিখিত-মত পথ বর্ণন আছে । রামায়ণের টীকাকারের অভিপ্রায় এই যে, এ পথ লোকগতায়াতের সাধারণ পথ নহে। ভরতকে শীঘ্ৰ সংবাদ দেওয়ার অনুরোধে, দূত জল জঙ্গল ভাঙ্গিয়া সোজা পথে গিয়াছিলেন “দূতাস্ত শীঘ্ৰং তন্নগরপ্রাপ্তয়ে কাস্তারমার্গেণ গতাঃ " “অযোধ্যা হইতে পশ্চিমমুখে গমন করিয়া অপরতাল এবং প্ৰলম্ব দেশের মধ্যে মালিনী নদী (১৯) পার হইয়া গমনানন্তর, পঞ্চাল দেশে উত্তীর্ণ হইয়া, হস্তিনাপুরের নিকট গঙ্গা পার হইয়া, কুরুজাঙ্গলের মধ্য দিয়া, শরদণ্ড নামক নদী পার হইয়া, পশ্চিমে কুলিঙ্গ নগরে প্রবেশ করিলেন । তথা হইতে অভিকাল ও তেজোভিভবন নামক দুই নগর (>>) Erinesas of Megasthenes. fosfērotā T. z উহ! সরযূর শাখা এবং বর্তমান নাম চুকা। এই নদীতটে কন্নু ঋষির আশ্রয়ে শকুন্তলা সহ দুষ্মস্তের প্রথম মিলন হয়। এবং ইহারই তট বহিয়া শকুন্তল হস্তিনাপুরে গমন করেন । -