পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

qર বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত । দ্বিতীয় ংস্কৃততেই আদিম ধাতু ছাড়া অনেক নূতন ধাতু গৃহীত হইয়াছে এবং অনেক অনাৰ্য্য কথা ইহাতে প্রবেশ করি য়াছে । ইহার কারণ কি ? কারণ বলিয়া যাহাই নির্দেশ কর, তাহাই উক্ত আপত্তিরও সিদ্ধান্ত-স্থল জানিবে। সংস্কৃত যদি জীবিত ছিল, তবে তৎসত্ত্বেও পালি ভাষা বৌদ্ধদিগের দ্বারা কেন পবিত্র ভাষা বলিয়া গৃহীত হইয়াছিল ? এবং কেনই বা সেই সেই ভাষা পরবর্তী বৌদ্ধরাজের গ্রহণ এবং সৰ্ব্বকৰ্ম্মে নিযুক্ত করিয়াছিলেন ? ইহার কারণ এরূপ নিরূপিত হয় ;–হিন্দুধৰ্ম্মশাস্ত্রাদির উদ্দেশ্য শিক্ষিতদিগের শিক্ষা, কিন্তু বৌদ্ধশাস্ত্রাদির উদ্দেশ্য সৰ্ব্বসাধারণের শিক্ষা; এরূপ স্থলে মার্জিত ভাষা পরিত্যক্ত হইয়া সৰ্ব্ববোধগম্য লোকভাষা ব্যবহৃত হইবে তাহা স্বতঃসিদ্ধ। পালিতে প্রথম ধৰ্ম্মপ্রচার হেতু, বুদ্ধ-শিষ্যের প্রথমধৰ্ম্মপ্রচারস্থল গয়ার ন্যায়, পালিকেও পবিত্র জ্ঞান করিয়া থাকে। রাজকাৰ্য্যে ব্যবহৃত ভাষার বিষয় আলোচনার পূর্বে, আমাদের বঙ্গভূমে কিছুকাল পূর্বে প্রচলিত পারস্যভাষা, এবং বর্তমান আদালতের বাঙ্গলা ও কেতাবি বাঙ্গলা, এ তিনের সম্বন্ধ এবং আবশ্বকতা নিরূপণ করা কর্তব্য ; এবং তদ্রুপ পূর্বকালে ইংলণ্ডের রাজভাষা ফরাশিশ ও লোকভাষা ইংরেজি এতদুভয়েরও সম্বদ্ধ ও আবশ্যকতা নিরূপণ কৰ্ত্তব্য। তাহা হইলেই তদ্বিষয়ের সদুত্তর হইবে । যাহা হউক, ভারতে যদি প্রাদেশিক সম্প্রদায়বিশেষের ইতর ভদ্র প্রভৃতি সৰ্ব্বপৰ্য্যায়ে, ধৰ্ম্মযাজকগণ জন্মগ্রহণ ও আত্মশিষ্যদের ভাষাকে পবিত্র করণ না করিতেন, তাহা হইলে