বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] ব্রাহ্মণবর্গ। NV অনেক ভাষাই, যাহা এ দূরান্তরে স্বাধীন বলিয়া প্রতীত হইতেছে, নাটকাশ্রয় ব্যতীত আর সর্বপ্রকারে রূপান্তরপরিগ্রাহী বা চিহ্নমাত্রও-বিহীন হইয়া লোপ পাইত । ংস্কৃত মৃত হইলে পরে বৌদ্ধদিগের ধৃষ্টতায় উত্তেজিত হইয়া ব্রাহ্মণের। মনু রামায়ণ প্রভৃতি গ্রন্থ রচনা করিয়া উহা অতি পুরাতন গ্রন্থ বলিয়া পরিচয় দিয়াছিলেন । এরূপ মিথ্যা পরিচয়ের উদ্দেশ্য কি ? যদি বলা যায় ব্রাহ্মণদিগের ধৰ্ম্মগ্রন্থের প্রাচীনত্ব দর্শাইবার জন্য, তাহ। হইলে বেদ থাকিতে অন্য চেষ্টার আবশ্বক কি ? ধৰ্ম্মযুদ্ধার্থে হইলে ঐ সকল গ্রন্থস্থ তত্ত্ব বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রতিদ্বন্দ্বী হইবার যোগ্য নহে। বিধান-দানার্থে হইলে কল্পসূত্র ত ছিল। কাব্যরসের শ্রেষ্ঠত্ব দেখান উদ্দেশ্য হইলে চেষ্টায় কাব্যরস বাহির হয় না । রামায়ণের ন্যায় উৎকৃষ্ট কাব্য যে একটা মৃত ভাষায় রচিত হইয়াছে, এরূপ সিদ্ধান্ত যে কতদূর রসগ্রাহিতার কাজ তাহা বলিতে চাহি না । যে ভাষা মৃত তাহার সহস্ৰ অনুশীলনেও সে পরভাষার ন্যায়। মানবচিত্তের চিন্তনক্রিয়া মাতৃভাষায় হইয়া থাকে, সেই চিন্তনফল কৃচ্ছসাধ্য মৃত ভাষায় রচিত হইলে, তাহা কিরূপ দুরুপাদেয় তাহ বলিবার আবশ্যক নাই। মৃত ভাষায় জয়দেব ব্যতীত কে উৎকৃষ্ট কাব্য রচনা করিয়াছে ? কিন্তু জয়দেবের ক্ষমতা জগতীয় অন্যান্যের ক্ষমতা হইতে একমাত্র স্বাতন্ত্র্যযুক্ত । কে না জানে যে মৃত ভাষায় রচনাকাৰ্য্য কতদূর সুগম ও সদুপাদেয় ? “Versification in a dead language is an exotic,