বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বাল্মীকি ও তৎসাময়িক বৃত্তান্ত.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

({\s বাল্মীকি ও তৎসামরিক বৃত্তান্ত । দ্বিতীয় জীবিত ছিল । সাধু সংস্কৃত ভাষা অবশ্যই শিক্ষিতের ব্যবহার করিত, অপর অংশ সাধারণের সম্পত্তি ; এই নিয়ম সভ্য ভাষামাত্রেই বর্তমান আছে। সুগ্ৰীবের দৌত্যকার্য্যে হনুমান যখন রামের নিকট গমন করেন, তাহার কথা শুনিয়া ঐজন্যই বোধ হয় রাম এরূপ কহিয়াছিলেন “তমভ্যভাষ সৌমিত্রে সুগ্ৰীবসচিবং কপিম্‌। বাক্যজ্ঞং মধুরৈবাক্যৈঃ স্নেহযুক্তমরিন্দমম্।। ২৭ ৷ নামৃগ্বেদবিনীতস্য নাযজুর্বেদধারিণঃ। নাসামবেদবিহুষঃ শক্যমেবং বিভাষিতুম্ ॥ ২৮। নুনং ব্যাকরণং কৃৎস্নমনেন বহুধা শ্রতম্। বহু ব্যাহরতানেন ন কিঞ্চিদপশদিতম্।।” ২৯ ॥ ৪ কাণ্ড, ৩ সর্গ। —সুগ্ৰীব-মন্ত্রী এই কপি বীর ও বাক্যজ্ঞ, তুমি ইহার সহিত, হে সৌমিত্রে, সস্নেহে মধুর-বাক্যে আলাপ কর । ইনি যেরূপ কহিলেন তাহা ঋক্, যজুঃ ও সাম এই বেদত্রয়ে পারদর্শী ভিন্ন সেরূপ কহিতে সমর্থ নহে। ইনি অনেকবার ব্যাকরণ অধ্যয়ন করিয়াছেন ; এতবাক্য কহিলেন ইহার মধ্যে একটও অপশব্দ নির্গত হইল না।—ভাষান্তর কহিতে হইলে, ‘অপশব্দের সম্ভব কোথায় ? অপশব্দ গ্রাম্যতাদোষযুক্ত শব্দ ভিন্ন অন্য কিছুই নহে। - ভারতের যে প্রাচীন বিদ্যা লইয়া আমরা এত গৌরব করিয়া থাকি, সে প্রাচীন বিদ্যা তাহার উন্নতির অতি উচ্চতম সোপানে এই সময়ে অধিরোহণ করিয়াছিল। ধৰ্ম্ম ও বৈজ্ঞানিক গ্রন্থের, বিশেষ ধৰ্ম্মগ্রন্থের এই প্লাবন-কাল । বেদ-চতুষ্টয় শিরোরভুরূপে সৰ্ব্বোপরি পরিশোভিত, আর