বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS Ge বিচিত্ৰ-জগৎ অধিকার স্থাপনের পরে যদিও এখানে নানাদিক থেকে নানা পরিবর্তন হয়েছে, তবুও সহরের লোকে সেই আগেকার মত সরল, অনাড়ম্বর জীবনযাত্রা নিৰ্বাহ করছে। কেবল মাঝে মাঝে বেতারের উঁচু মাস্তুল মনে করিয়ে দেয় যে, বিংশ শতাব্দীর সভ্যতার ঢেউ এখানেও এসে পৌছেছে। সহরের বাড়ীগুলো কাচা ইটের, চারি পাশের অনুচ্চ শৈলমালার গায়ে থাকে থাকে অবস্থিত। মাঝে মাঝে কাঠের তৈরী ঘরও আছে। দুচারখানা দোতলা বাড়ীও চোখে পড়ে। সহরের ঠিক কেন্দ্ৰস্থানে একটা পাহাড়ের উপর স্থানীয় রাজপ্রাসাদ-এখানে বলে “রাণীর বাড়ী’ । মাদাগাস্কারের শেষ রাণী তৃতীয় রানাভালোনার নির্বাসনের পরে এই রাজপ্ৰাসাদ এখন জাতীয় মিউজিয়মে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় অধিবাসীদের ঘরে ঢুকতে হলে মাথা খুব নীচু করে ঢুকতে হয়, দোর এত ছোট। এদের ঘরে আসবাবপত্র থাকে খুব কম। মেজেতে একখানা বড় মাদুর বিছানো, কয়েক চাঙ্গান্ধী চাল, রাধবার জন্যে একটা বড় লোহার কড়াই, জল রাখবার জন্য দুটা তিনটে বড় জালা কিম্বা লাউয়ের খোল । ছাদের সৰ্ব্বত্র কালো কালো মাকড়সার কুল ঝুলছে, দেয়ালে দু’একটা কাঠের দেবদেবীর মূৰ্ত্তি । মাদাগাস্কারে স্ত্রীলোকেরা সমাজে খুব সম্মানিত। এর একটা কারণ এই যে, ফরাসী ۔۔۔۔۔۔۔۔"عصممبہم۔ مہ یہی ۔ جس ... - 4vax" অধিকারের পূর্বে রাজার বদলে | ఇ. హా" s A. রাণীরা এখানে অনেক দিন ब्रास्त्र कझछिलन । अवथ এখানকার মেয়েদের গৃহকৰ্ম্ম, রান্না, ধানভানা-সবই করতে হয়, সংসারের জন্যে হাটবাজারও করতে হয়-কিন্তু পুরুষের কাছে নারীদের যথেষ্ট সম্মান । মাদাগাস্কারে জীবনযাত্ৰাপ্ৰণালী খুব দুরূহ ও জটিল নয়। বছরের মধ্যে দিনকতক খেটে ধান্তরোপণ করলেই সারা বছরের কাজ হয়ে গেল । ধান কাটার সময় আরও কয়েক দিনের খাটুনি আছে।--তারপর গোলা থেকে ধান বার করা, ধানভানা, আর ভাত রাধা । পুরুষদের আর একটা প্ৰধান কাজ হচ্ছে পশুপালন । এদেশে প্ৰত্যেক গৃহস্থের যথেষ্ট গরু-বাছুর আছে! যার যত গরু-বাছুর বেশী, স্থানীয় সমাজে তার সম্মান ও প্রতিপত্তি তত বেশী। বোধ হয় এই জন্যই এখানকার লোকে প্ৰাণ গেলেও গরু-বাছুর বিক্ৰী করতে চায় না বা গরুর মাংস খাওয়ার চলন থাকলেও কখনো গোহিত্যা করে না। এর কারণ এই যে, যদি তার গোশালায় গরুর সংখ্যা কমে যায়, তবে প্রতিবেশীর চোখে তার পিসায় কমে যাবে। গরুচুরি এখানে খুব চলে। প্রায়ই শোনা যায় এ ওর গরু চুরি করে জেল খাটছে। ফরাসী আইনে চুরি মাত্রেই অপরাধ বলে গন্য, এই হয়েছে মুস্কিল, নতুবা গরুচুরি মাদাগাস্কারের দেশী সমাজে অপরাধ বলেই গণ্য নয়। ওটা একটা খেলার মধ্যে, ধরা হয়- একথা বলা যেতে পারে, ফুটবল যেমন ইংল্যাণ্ডে জনপ্রিয় স্পোর্ট, মাদাগাস্কারের . . . ۳ মাদাগাস্কারের সহরে পুরাতন ও নূতন ধাজের এই সংমিশ্রণ অনেক বসত-বাটিতে দেখা যাইবে। সম্মুখে ধান ভান হইতেছে। বাংলার পল্লীগ্রামেও এ দৃশ্য অপরিচিত নয়।