বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 বিচিত্র-জগৎ জাপানীরা খুব আখের চাষ সুরু করিয়াছে এখানে, এমন কি আখের গুড় হইতে হুইঙ্গি চোলাই করিবার একটি কারখানাও খুলিয়াছে। “আখের গুড় হইতে হুইঙ্গি, কেহ কখনও শুনিয়াছে কি ? কিন্তু জাপানীরা হটবার পাত্র নয়। হুইঙ্গির বোতলগুলি দেখিতে ঠিক আমাদের দেশের হুইস্কির বোতলেরই মত—তার গায়ে লেবেল আঁটা আছে-“খাটী পুরাতন স্কচ হুইঙ্কি, সাইপানে প্ৰস্তুত"- এবং সত্তর হাজার কোয়ার্ট এই হুইস্কি প্ৰতি বৎসর এখান হইতে টাকিওতে রপ্তানী করা হয়। কারখানার ম্যানেজার আমাকে কারখানার সর্বত্র দেখাইয়া লইয়া বেড়াইলেন এবং একটু গর্বের সুরে বলিলেন যে, আগামী বৎসরে তিনি ঐ ঝোলাগুড় হইতে ‘পোর্ট ওয়াইন’ চোলাই করিবার মতলব করিতেছেন এবং আশা করেন, ইহাতে কৃতকাৰ্য্যও হইবেন । “সাইপান ছাড়িয়া আমরা খাড়া পুৰ্ব্বমুখে চলিলাম, তিন দিনের মধ্যে ডাঙা চোখে পড়িল না, শুধু জল আর জল । বাণিজ্যবায়ু প্ৰচণ্ড হইয়া উঠিয়া প্ৰতিপদে আমাদিগকে বাধাপ্ৰদান করিতেছিল। অবশেষে একদিন আমরা একটি অপরিসর খাড়ির মধ্যে ঢুকিয়া প্রবাল-বাঁধের মধ্যবৰ্ত্তী স্থির সমুদ্রে নোঙর করিলাম। এই বন্দরের নাম ট্রাক । “সাউথ-সি দ্বীপপুঞ্জের অন্য সব গুলির মত ট্রাকেরও এমন একটি অপরূপ সৌন্দৰ্য্য আছে, যা ঠিকমত ধর্ণনা করিতে পারা যায় না, অথচ যা প্ৰকাশ না করিতে পারিলে মনকে পীড়া দেয়। জাপানের শাসনাধীনে আসার দরুণ এখানে একটা বড় উপকার হইয়াছে এই যে, কোন প্রকারের ট্রপিক্যাল রোগ এখানে নাই । এমন কি ট্রপিকসের অতি-সাধারণ রোগ ম্যালেরিয়াও না । ম্যালেরিয়ার বীজবাহী মশা এখানে নাই। تی را با O “কিন্তু সভ্যতার সংস্পর্শে আসিয়া হাওয়াই ও টাইটি দ্বীপের পেনাপি ( সাউথ সি ); রহস্যময় অরণ্যাবৃত দুর্গের ধ্বংসাবশেষ। আদিম অধিবাসীদের যে দুর্দশী সুরু হইয়াছে, ইহাদের মধ্যেও এই দুর্গ কবে কাহারা নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল, তাই জানা যায় তাহার সূত্রপাত হইয়াছে। অর্থাৎ शा७चाई V3 徐陵危 দ্বীপের DD S SDD B SD BuBBD DBBBB DBDDDDB E ܚܝܗܝܢ.-ܚ ܕܬ݁ ܬ݁ܚܶܝܗܝ؟ Z নিৰ্ম্মিত হয় নাই, তই সহজেই অনুমান করা যায় । অধিবাসাদের মত ইহারা মরিয়া উজাড় হইয়া এখনও যায় নাই (পঞ্চপুষ্ঠা ব্য) বটে, কিন্তু চামোরো ও কানাকা জাতিদের মধ্যে বৰ্ত্তমানে জন্ম অপেক্ষা মৃত্যুর হার বেশী দেখা যাইতেছে। “টাকের একটী গৌরব করিবার বিষয় এই যে, দ্বীপটী টাইফুনের জন্মস্থান। টাইফুন বা ঘূর্ণিঝড় অনেক সময় পাঁচশ মাইল ব্যাস লইয়া বহিতে থাকে এবং বৎসরে কোন কোন ঋতুতে উত্তর-প্ৰশান্ত মহাসাগরে প্রলয় বাধাইয়া তোলে। কিন্তু ট্রাক টাইফুনের জন্মস্থান হইলেও বায়ুমণ্ডল এখানে সব সময়ই প্ৰশান্ত । সমুদ্রতীরে দাড়াইয়া দূরের তালীবনের সহস্ৰ শাখার মধ্যে বাতাসের গতিবিধি লক্ষ্য করিতেছিলাম। বাতাস ঘুরিয়া ঘুরিয়া বহিতেছে বটে, এখনও কচি শিশুর মতই প্রবাল-সরোবরে ভেলাদের দোল দিতেছে, তাল-নারিকেলের পত্রপুঞ্জ নাড়িয়া খেলা कहिङCछ्••• “...কিন্তু এখান হইতে একশো মাইল পশ্চিমে যখন গিয়া পড়িবে, তখন ইহার এই শৈশব চলিয়া যাইবে, তখন ইহার সম্মুখস্থ জেলে-ডিঙিগুলি ব্যস্তসমস্ত ভাবে আশ্রয় অভিমুখে উৰ্দ্ধশ্বাসে দৌড় দিবে। আরও একশো মাইল