বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰশান্ত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জ Sct দূরে গেলে, তখন বেতার-ষ্টেশন হইতে সকল জাহাজকে ঝড়ের গতি সম্বন্ধে সতর্ক করিতে থাকিবে, বিভিন্ন দ্বীপের অধিবাসীরা ঝড় ও বৃষ্টির মধ্যে তাহদের নারিকেল পাতার কুটীরে মাথা গুজিয়া ৬য়ে কঁাপিবে এবং বড় বড় ধাত্রীজাহাজ পৰ্বতপ্ৰমাণ ঢেউয়ের মধ্যে পড়িয়া হাবুডুবু খাইবে। “টাইফুন কখনো একদিকে ছুটে না। ট্রাক হইতে পশ্চিমদিকে যাত্ৰা করিয়া পেগ বাড়িবার সঙ্গে সঙ্গে নানাদিক ছড়াইয়া পড়ে 1 হয়তো ফিলিপাইনে শুধু খুব ঝড়-বৃষ্টির উপর দিয়াই গেল, হংকংএ আটচল্লিশ ঘণ্টার জন্য জাহাজ-চলাচল বন্ধ থাকিল, কিন্তু হংকংএর নিকটস্থ বন্দর এময়ের (Amoy) সৰ্ব্বনাশ ঘটিল, অথচ ফরমোস! দ্বীপে শুধু বেতারের মারফৎ ঝড়ের খবর পৌছিল মাত্র। “টাইফুনের খামখেয়ালী গতির বিষয় কেহ কিছু বলিতে পারে না ঠিক বটে, কিন্তু টাইফুনের নির্দয় কবলে পড়িলে জাহাজ, গ্রাম ও কৃষিক্ষেত্রের কি দুৰ্দশা ঘটে, তাহা কাহারও জানিতে বাকী নাই। আমি দুইবার প্রকৃতির এই রুদ্রলীলার অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছি, পুনরায় টাইফুনের সম্মুখীন হইবার ইচ্ছা আমার নাই। “ক্যারোলিন দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে পোনাপি নামে একটী দ্বীপ আছে। তাহাতে দুটা আশ্চৰ্য্য জিনিষ দেখা যায়। প্ৰথম, প্ৰায় দুহাজার ফুট উচ্চ একটী পৰ্ব্বত, এ অঞ্চলের প্রায় কোন দ্বীপেই এত উচ্চ পৰ্ব্বত নাই, আর দ্বিতীয়ট হইতেছে একটী বহু প্ৰাচীন যুগের দুর্গ। এই দুর্গ কাহারা নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল। তাই। কেহ জানে না। কিন্তু একথা ঠিকু যে, তাহা এই দ্বীপের অধিবাসীদের দ্বারা নিৰ্ম্মিত নয় । “এই প্ৰাচীন কীক্তি সম্বন্ধে নানারূপ কৌতুহলপ্ৰদ কাহিনী প্রচলিত আছে। অধিবাসীদিগের মধ্যে কোন কোন অতিবৃদ্ধ লোক না কি ইহার গোপনতত্ত্ব অবগত আছে, কিন্তু তাহদের বিশ্বাস বিদেশীর কাছে তাহা প্ৰকাশ করিতে নাই। একজন জাপানী স্কুলমাষ্টারের সহিত BDDD DDB BBD SS SDDBBD BB DDDDS sBB DB SBB তঁহার নির্বন্ধতিশয্যে ভুলিয়া গুপ্ততথ্যটী তাহার কাছে প্ৰকাশ করিতে চাহিয়াছিল। কিন্তু বলিবার পূর্বেই বৃদ্ধ ব্যক্তি মারা যায়। সেই ? হইতে এই সংস্কার অধিবাসীদিগের মধ্যে আরও বদ্ধমূল হইয়াছে। পেনাপি ( সাউথ-সি) : ভূপ্রদক্ষিণকারী ম্যাগেলীণের সমসাময়িক ( ষোড়শ শতক ) স্পেনীয়গণ কিন্তুক নিশ্মি শু “এই দুর্গের ধ্বংসস্তােপ প্ৰায় পাঁচ বৰ্গমাইল জমি জুড়িয়া অবস্থিত । দুর্গ-প্রকারের প্রবেশতোরণ। বড় বড় চৌরস করিয়া কত্তিত প্ৰস্তরখণ্ডে ইহা নিৰ্ম্মিত । ত্ৰিশ মাইল দুৰ্ববৰ্ত্তী কোন স্থান হইতে যে এই সকল প্ৰস্তর আনীত হইয়াছিল তাহারও প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। প্ৰথম দর্শনে মনে হয়, দুর্গটি যেন সমুদ্রগর্ভ হইতে উত্থিত হইয়াছে। আসলে কতকগুলি অতি ক্ষুদ্রকায় দ্বীপের উপর ধাড়ীগুলি নিৰ্ম্মিত। বড় বড় খাল দ্বারা সেগুলি পরস্পর সংযুক্ত। দুর্গের মধ্যস্থলে একটা বড় প্রাসাদ পুর্বে ঘোর জঙ্গলে আবৃত ছিল, এখন জঙ্গল পরিষ্কার করা হইয়াছে। এক সময়ে এই প্ৰাসাদে বড় বড় কক্ষ ছিল এবং জল হইতে প্রাসাদে উঠিবার সুবৃহৎ সোপােনাবলীর ধ্বংসাবশেষ এখনও দৃষ্ট হয়। দুর্গের প্রাচীর তিন চার ফুট পুরু এবং ক্রমশঃ পিছন দিকে ঢালু। পিকিং সহরে এই ধরণের গাথুনি দেখা যায়। “সমুদ্রের ধারে একটি প্রাচীন কালের পোতাশ্রয়ের ধ্বংসাবশেষ আছে। এক সময় পোতাশ্রয়টি খুব গভীর