বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 t ff面-哥科s করিয়া যে-সব ফিল্ম তোলা হয়, তাহার মধ্যেও নায়িকাকে এত মুক্ত ও স্বাধীন দেখা যায় কি না সন্দেহ। তাহারা জ্যোৎস্নালোকে হয় তো প্রবাল-বাধ ছাড়াইয়া দুরের দ্বীপে নৌকা করিয়া বেড়াইতে যাইতেছে, নয় তো বালুতটে চুপচাপ বসিয়া গান গাহিতেছে, কিংবা মাছ ধরিতেছে, নয় তো পাহাড়ের উপর চড়িয়া বসিয়া আছে। তাহারা কোথায় কখন থাকিবে, কেহ বলিতে পারে না । কিন্তু আশ্চৰ্য্যের বিষয়, তাহারা বা তাছাদের বাপ-মা পোর্ট ভিক্টোরিয়াতে বড় একটা যায় না । বোধ হয়, সহরের আকর্ষণ প্ৰকৃতির লীলাভূমি সিলুয়েট দ্বীপ হইতে তাহদের লইয়া যাইতে পারে না। এই বন্য জীবনই তাহারা ভালবাসে, দেখিলাম ইহাতেই তাহারা সুখী । পোর্ট ভিক্টোরিয়াতে যেদিন প্রথম যাই, সে দিনের কথাও স্পষ্ট মনে আছে। এখানকার এই সব দ্বীপের রাজধানী পোর্ট ভিক্টোরিয়া । এক হাজার মাইলের মধ্যে ইহাই একমাত্র সহর ও আধুনিক সভ্যতার কেন্দ্র। এখানকার অধিবাসীরা ভাবে পোর্ট ভিক্টোরিয়ার মত সহর পৃথিবীতে বোধ হয় বেশী নাই। এখানে সিনেমা আছে, নাচঘর আছে, ব্যাঙ্ক আছে, . « হোটেল আছে, হরেক রকম জিনিসে সাজানো মনিহারী দোকান পৰ্যন্ত KY0S S DBDSDBYYS BKDDSL নিতান্ত মন্দ নয় । পোর্ট ভিক্টোরিয়া কিন্তু উগ্ৰ ধরণের সহর নয়। এত আধুনিক জিনিসের সমাবেশ হওয়া সত্বেও পোর্ট ভিক্টোরিয়া তাহার বন্য প্ৰকৃতিকে ঢাকিতে পারে নাই । সহরের যে কোন বড় রাস্তা গিয়া উচ্চ গ্রানাইট "" , ཚེ་ পৰ্ব্বতের পাদদেশে পৌঁছিয়াছে। মাহি ; ক্রিয়োল-পরিবার ; ইহাদের পূর্বপুরুষ ক্রীতদাস ছিল। ব্যাঙ্কের পিছনে, সিনেমা-হলের পিছনে, পৰ্ব্বত নীল আকাশে মার্গা পাড়া করিয়া দাড়াইয়া আছে, ঘন হরিৎ বর্ণ তাদের বনানী-সমাকীর্ণ गांठू८* । 泰 পাহাড়ের ঢালুতে, সমতল ভূমিতে, সহরের রাস্তার সাথে ছোট পার্কে বড় বড় রুটীফলের গাছ, নারিকেল গাছ, কলা গাছ । নানা ধরণের অপরিচিত সুগন্ধ বাতাস। সহরের দোকানগুলির মালিক প্রায়ই চীনা, নয় ভারতীয়। মসিও মিকেল যাহাকে হোটেল নামে অভিহিত করিয়া থাকেন, আমি পোর্ট ভিক্টোরিয়ার, রাস্তা ‘বাহিয়া সেই কাঠের জীর্ণ বাড়ীটির অভিমুখে যাইতেছিলাম। আমার চারিধারে খেন রূপকথার দৃশ্য। সাদা ড্রিলের পোষাক পরিয়া দ্রষ্টপুষ্ট ফরাসী পোদ্দার চলিয়াছে, ক্রিয়োল মেয়েরা পরস্পর হাতে হাত দিয়া হাসিতে হাসিতে ও সুবাসিত সিগারেটের ধূমপান করিতে করিতে চলিয়াছে। অনেকে রাস্তার ধারে দোকানে বসিয়া “বাকা’ পান করিতেছে। “বাকা” একপ্রকার সুরা, আখের রস হইতে