বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छिनिशांक & कंाश SGG কাজে গিরিগুহা আতি অদ্ভুত জিনিষ। এখানে তিনটি গুহা আছে পর পার-একটার মধ্য দিয়ে আর একটাতে যাওয়া যায়। কোন গুহার মধ্যে মনে হবে যেন প্ৰকাণ্ড একটা রাজপ্রাসাদ, বড় বড় থাম, সিংহাসন সাজানো রয়েছে। কোন গুহাতে অদ্ভুতদৰ্শন অনাবৃত স্তররাজি, কোনটা সবুজ, কোনটা বেগুণী রঙের। সবই প্রকৃতির হাতে গড় স্থাপত্য। গুহার ছাদ দিয়ে জল চুয়ে পড়ে? যে ক্যালসিয়াম, কার্বোনেট সঞ্চিত হয়েছে, বহুযুগ ধরে তারই ফলে এই সকল অদ্ভুত দৃশ্যের স্বষ্টি হয়েছে গুহার মধ্যে। এই জায়গাটাতে বন এত ঘন যে বাইরে থেকে এ গুহার অস্তিত্ব একেবারেই জানিবার উপায় নেই-গুহার মুখ বুনো লতাপাতায় চাপা থাকে। গুহার অবস্থানস্থানটি যে ঠিক না জানে, সে এক ঘণ্টা ঘুরলেও গুহার মুখ খুজে পাবে न। . . . . ১৭৮০ সালে ভ্যান জিল নামে একজন বুয়ারি-শিকারী হাতী শিকারের জন্যে এই ঘন জঙ্গলে ঢুকে ঘুরতে ঘুরতে গুহার মুখে এসে পড়ে। কৌতুহলবশতঃ গুহায় ঢুকে সে অনেক দূর চলে যায় এবং গুহার ভিতরকার অপূর্ব দৃশ্যাবলী দেখে আশ্চৰ্য্য হয়ে দেশে ফিরে সকলকে গল্প করে। সেই থেকে কাঙ্গো গুহার নাম সভ্যজগতে সুপরিচিত হয়। গুহার মধ্যে ভাল আলোর ব্যবস্থা এতদিন ছিল না । এ৩ অন্ধকার যে পাপ হারাবার আশঙ্কা পদে পদে-মধ্যে । এত ঘর বাড়ী, বারান্দা, সিড়ি, যে খুব বড় রাজপ্রাসাদে তার অৰ্দ্ধেকও নেই। একবার গোলকধাঁধার মধ্যে অন্ধকারে পথ হারালে প্ৰাণ নিয়ে দিনের আলোয় প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করা দুরূহ ছিল। সকলের চেয়ে বড় হল প্ৰথমে পড়ে -এর নাম ভ্যানজিলের হল, তারপর বোথার হল, স্নানাগার, ( এখানে গুহাতলে সব সময় নিৰ্ম্মল জল পাওয়া যায় ), রাজার কক্ষ, বাসরকক্ষ, নীল কক্ষ, রাজা সলোমানের খনি-ইত্যাদি নানা ঘর, বারান্দা আছে। আজকাল গুহার মধ্যে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা হয়েছে—পথিকদল নিৰ্ভয়ে গুহার সর্বত্র ঘুরে রেড়াতে পারে। কাঙ্গো গুহাতে আদিম যুগের মানুষেরা বাস করত, বহু সহস্ৰ বছর আগে-গুহার গায়ে তাদের আঁকা জন্তু-জানোয়ারের ছবি এখনও স্থানে স্থানে অস্পষ্ট চোখে পড়ে । । কঙ্গে গুহা, ভ্যানজিলের হল। r .۰ -هٔ