বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যবদ্বীপের আগ্নেয়গিরি রবার্ট মুগ্ধ প্ৰাকৃতিক দৃশ্যের ভক্ত, নিজে একজন ভাল আর্টিষ্ট। প্ৰাকৃতিক সৌন্দৰ্য্যের সন্ধানে তিনি পৃথিবীর নানা দেশে ভ্ৰমণ করেছেন। তঁর জাভা-ভ্রমনের কাহিনী হতে কিছু উদ্ধৃত হ’ল। আমি সম্প্রতি ক্যামেরাতে রঙীন দৃশ্যের ফটাে নিয়ে বেড়াই। সানফ্রান্সিসকোর সমুদ্রতটে, বিখ্যাত জ্যাসপার ন্যাশনাল পার্কে, অষ্ট্রেলিয়ার জঙ্গলের নানাস্থান বেড়িয়ে অনেক ফটাে নিয়েছি। কিন্তু জাভায় এসে আমার মনে হ’ল এখানে যে বর্ণ-বৈচিত্ৰ্য দেখছি, পৃথিবীর অন্য কোথাও এর তুলনা নেই। যতদুর চোখ যায়, সবুজ আখের ক্ষেত, নয়তো পাহাড়ের উপত্যকার এবং আগ্নেয় পর্বতগুলির সানুদেশে থাকে-থাকে। ধানের ক্ষেত । ঢেউ-খেলান ধানক্ষেতের পাড় রচনা করেছে মাইলের পর মাইলব্যাপী সিনকোেনা বাগান। ডাচ গবৰ্ণমেণ্ট আজকাল কুইনাইন sDDYYS BDLLS SBDBDBBDDS KKK K করছেন ও সিনকোন চাষের উন্নতিকল্পে ইউরোপ থেকে বহু বিশেষজ্ঞ আমদানী করা হয়েছে। জা তাকে একটা রঙীন ফিল্মের মত মনে হয় । অসংখ্যা রঙীন দৃশ্যের দ্রুত যাতায়াত, একটার পরে আর একটা । পুরানো হিন্দু মন্দির, জীবন্ত ও নিবন্ত আগ্নেয় পৰ্ব্বত, রেশমী ‘বাটিক’-শিল্পীদল, রঙীন পোষাক পরা নর্তকীদল, “গ্যামেলান’ বাদকদল ; যোজন ব্যাপী রবার ও কফির বাগানযেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই শুষ্ঠামল ক্ষেত্র ও নীল পর্বতমালা । নক্ষত্রভর। স্তব্ধ রাত্রি ; এক পশলা বৃষ্টি পড়ে বাতাস যেন প্ৰেয়সীর করষ্পর্শের মত মধুর ও মৃদু হয়ে উঠেছেসে সময় সিঙ্গাপুরের বন্দরের বাইরের সমুদ্রে আমাদের জাহাজ নঙর ফেললে। আমাদের জাহাজ ও দূরবর্তী বন্দরের ক্ষীণ আলোকমালার মধ্যে নানা দেশের জাহাজ নাঙর করে আছে, লণ্ডন থেকে সাংহাই লাইনের আলোকজ্জল ষ্টীমারখানা তো আমরা বেশ চিনতে পারলাম। নিউ ইয়র্কের ষ্টীমার আছে, সারা পৃথিবী ঘুরতে , বেরিয়েছে ; কোবে, আমষ্টার্ডম এবং নেপলস থেকে কত জাহাজ এসেছে ; এ ছাড়া শত শত চীনা সামপান ও জাঙ্ক মিটমিটে নারিকেল তৈলের আলোয় ভূতের মত দেখাচ্ছে। জাভা ঃ পুতুল নােচ ; সন্মুখের পর্দার উপরে ছায়া ফেলিয়া দর্শকদিগকে মুগ্ধ করা হইতেছে।