বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भङ्क्षभिन्न 6प्रभं ख्ञांद्रव Şම්ම් ধে স্থানের অধিবাসীদের উপর উপদ্রব সুরু করলে, সে জায়গাটা মুকাল্লার সুলতানের অধিকারভুক্ত। অধিবাসীরা সুলতানকে জানালে। সুলতানের আদেশে একদল সুশিক্ষিত সৈন্য ও একটা ছোট কামান দিগ্বিজয়ীর বিরুদ্ধে প্রেরিত হ’ল-ফলে দিশ্বজয়ীর সৈন্যদল ছত্রভঙ্গ হয়ে যে যে দিকে চোখ যায় সরে পড়ল। দিগ্বিজয়ী নিজে হ’ল বন্দী এবং সুলতান তার মুক্তিপণ স্বরূপ আশী হাজার ফ্লোরিন চাইলেন। দিগ্বিজয়ী তখন নেদারল্যাণ্ড গবৰ্ণমেণ্টের কাছে আবেদন করলে যে, সে একজন ডাচ প্ৰজা-সুলতান তাকে বন্দী করে প্রকৃত পক্ষে ডাচ গবৰ্ণমেণ্টেরই অপমান করেছেন, অতএব যত সত্বর হয়, মুকল্পিায় একখানা যুদ্ধের জাহাজ পাঠিয়ে এর প্রতিশোধ নেওয়া হ’ক। ডাচ গবৰ্ণমেণ্ট অবশ্য যুদ্ধের জাহাজ পাঠান নি, কিন্তু অন্যভাবে এই অদ্ভুত প্ৰকৃতির হাদ্রাহামির মুক্তির ব্যবস্থা করেছিলেন । এই ঘটনার পর থেকেই হাদ্রামাউতের অজ্ঞাত স্থান সকল পরিভ্রমণ করিবার অনুমতি পাওয়া যায় মুকাল্লার সুলতানের নিকট থেকে। s०७» गांर्लक्ष qठेिथंव् भंग छ्त्रांर्भि - ও ডাঃ বিসমান এডেন বন্দরে জাহাজ থেকে নামি এবং হাদ্রামাউৎ প্রদেশের অভ্যস্তুর ভাগে প্ৰবেশ করবার উদ্যোগ করি । এডেন থেকে ছোট ষ্টীমারে মুকাল্লা আসি। মুকাল্লা আরব সমুদ্রের একটি বন্দর। এখানে বাহিরের সমুদ্রের ঢেউকে বাধা দেওয়ার জন্যে আধুনিক ধরণের বঁাধ নেই। বড় বড় ঢেউ সমুদ্রতীরবর্তী রাজপথ বিধৌত করে দিচ্ছে। গরম খুব কম। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু যখন প্ৰবাহিত হয়, তখন "জেল" : মরুভূমির পণে এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্তুরাকীর্ণ অঞ্চল উত্তীর্ণ হইবার কষ্টই সুমধিক। সমুদ্রের ঢেউএর গর্জনধ্বনি স্থানীয় বাজারের কোলাহলকে ডুবিয়ে দেয়। মুকাল্লা সুরক্ষিত সহর। মরুভূমিবাসী বেদুইন দল সহরের মধ্যে প্রবেশের সময় পুলিশের কাছে তাদের রাইফেল ও টোটা জিন্ম দিতে বাধ্য হাট-বাজার সেরে বাড়ী ফিরে যাবার সময় আবার ফেরৎ পাবে। বেদুইনরা অত্যন্ত দুৰ্দ্ধৰ্ষ, দাম্যবৃত্তিই অনেকের প্রধান উপজীবিকা- এ ধরণের ব্যবস্থা। তাই অতি প্রয়োজনীয়। মুকাল্প বাজারে তারা মাসে একবার খাবার জিনিস সংগ্ৰহ করবার জন্য আসে। সাধারণতঃ তারা কেনে ময়দা, চাল, শুকনো খেজুর ও সুটকি মাছ-প্রধানতঃ সামুদ্রিক হাঙ্গরের বাচ্চ। বেদুইনদের মাথায় বাঁকড়া চুল, ফুলগুলোকে একটা চামড়ার পেট দিয়ে বেঁধে রাখে। রৌদ্র ও গরম হাওয়ার হালকা থেকে দেহকে রক্ষা করবার জন্য সাধারণতঃ নীল রং গায়ে মাখে। রাত্রে আবার তার উপর চর্বি মাখায় । মুকান্নার সুলতান বৎসরের মধ্যে বেশীর ভাগ সময় থাকেন ভারতবর্ষের অন্তর্গত হায়দ্রাবাদ। সুলতানের প্রধান উজির আমাদের ভ্রমণের বিষয়ে যথেষ্ট সাহায্য করলেন। কয়েক সপ্তাহ পরে একদল পথিক উটের পিঠে হাদ্রিামাউতোর টেরিম সহরের দিকে রওনা হ’ল-আমরাও তাদের সঙ্গ নিলাম। এখানে উল্লেখ করা আবশ্বক যে, দলবদ্ধ অবস্থায় ছাড়া মরুভূমির মধ্যে ভ্ৰমণ করা বিপজ্জনক। পথ হারাবার ভয় তো আছেই-তা ছাড়া আছে রাইফেলধাৱী দুৰ্দান্ত বেদুইন দাসু্যর দল। অনেক সময় এদের হাতে পড়ে গোটা পথিক দলই মারা পড়ে।