বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

侍f画夺术 واوالا হয়েছিল, সাধারণ লোকের ভাগ্যে তা জুটে না। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কয়েকদিন মাত্র এখানে যাপন করবার পরে পুনরায় মরুপথে আমাদের যাত্রা সুরু হ’ল, কারণ সময়ের অভাব্যবশতঃ কোথাও দীর্ঘকাল কাটান আমাদের পক্ষে সম্ভব छिल ना । আবার নির্জন মরুভূমি ও নির্জনতর নদীখাত। আরবী ভাষায় এর নাম ওয়াদি । ওয়াদি এখানে বিস্তৃত বটে, কিন্তু বৃক্ষলতাবিহীন। দুপুরে অত্যন্ত গরম, ১০০° ডিগ্ৰী থেকে গরম চড়ল ১১৮° ডিগ্ৰীতে। কম্পমান উত্তাপ-তরঙ্গের মধ্য দিয়ে অনেক দূরে অস্পষ্টভাবে হাজারাইন নামে একটা গ্ৰাম দেখা গেল। এই পথের পাশে পুরাকালের কয়েকটি নগরীর ধ্বংসাবশেষ আছে, তার পরে হাজারাইন গ্ৰাম । আগে এখানে দস্যর বড়ই উৎপাত ছিল, বৰ্ত্তমানে স্থানীয় একটি ধনী ও সন্ত্রান্ত সৈয়দ পরিবারের বিক্রমে স্থানটি সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ। এইস্থানের অধিবাসীরা পূৰ্ব্বে কখনো কোন ইউরোপীয়ানকে নগরের প্রাচীরের মধ্যে প্রবেশের অনুমতি দেয় নি। কিন্তু এখন আর সে অবস্থা নেই। আমাদের আগমন উপলক্ষে বিরাট উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে দেখা গেল। রাস্তার দুধারে রঙীন কাগজের লণ্ঠন। গ্রামের মোড়ল এসে আমাদের সাদরে অভ্যর্থনা করে নিজের বাড়ীতে নিয়ে চললেন। আগে আগে চললেন বিখ্যাত এল-আত্তাস ংশের জনৈক ভদ্রলোক । কিন্তু গ্রামের ভীষণ জলকষ্ট ও অধিবাসীদের দারিদ্র্য দেখে আমাদের মন যেন নিরানন্দ হয়ে পড়ল । এখানে আমরা কয়েক দিন থাকবার পরে খবর পেলাম, ডাচ গভর্ণমেণ্ট আমাদের জন্যে মোটরগাড়ী হাম্রামাউৎ ; শস্তক্ষেত্রে কৃষাণীরা আগাছা পরিষ্কার করিতেছে। . . . . . পাঠিয়ে দিয়েছে। একদিন সকালে নগরের অধিবাসিগণ এই নতুন দানবের আবির্ভাবে চমকৈ উঠল-বিকট শব্দ করতে করতে মরুভূমির জিনের মতই সে শান্ত, স্তব্ধ নগরের রাজপথে দেখা দিল। ছোট ছোট ছেলেমেয়ের দূরে দাড়িয়ে এটার দিকে ভয়ে ও সম্রামে চেয়ে রইল। মেয়েরা তাড়াতাড়ি ছাদের উপর উঠে মুখের অবগুণ্ঠন উন্মোচন করলে। আল্লার তৈরী বাইরের জগৎটাতে DD DDD DBDB BDBBi DuDD DBBDSS S DBBB DD BBBSBB S এই মরুভূমির পথে মোটরগাড়ী পাঠাবার খরচ অনেক। টেরিম সহরের শাসনকৰ্ত্তা আবু বক্ত্ব সম্প্রতি টেরিম থেকে দক্ষিণ দিকের উপকূল পৰ্যন্ত মোটরগাড়ী চলাচলের রাস্তা তৈরী করবার চেষ্টায় আছেন, কারণ তিনি মোটরগাড়ীর উপকারিতা বুঝেছেন-ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকেও বটে, যাতায়াতের সুবিধার জন্যও বটে, কিন্তু বিশেষ করে এক জায়গা থেকে অন্য যায়গায় খুব তাড়াতাড়ি সৈন্যদল নিয়ে যেতে পারার সুবিধার জন্য। আবু বক্র নিজের খরচে এই রাস্তা তৈরী করাচ্ছেন। এক দারুণ উত্তপ্ত গ্ৰীষ্ম-মধ্যাহে মােটরযোগে আমরা সে নগর ত্যাগ করে আবার বেরিয়ে পড়লাম। মােটরে এত লোক ও মাল বোঝাই করা হয়েছিল যে, তাতে আর তিল মাত্র স্থান ছিল না। নগরের বাইরে ঘোর মরুভূমি,