বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እዒe ff面-西宋 জল তুলে আমার ঘোড়াকে জল খাওয়ালে। আমাকেও জল দিতে যাবে এমন সময় একখানা বড় মোটরগাড়ী বোঝাই হয়ে একদল টুরিষ্ট এসে পৌছল- কৰ্ত্তা, গিরি, তিনটি ছেলে-মেয়ে। তারা এসে কোনো কিছু না বলেই বিক্ষিত নাভাজো বালকটির হাত থেকে জলপূৰ্ণ বালতিটা কেড়ে নিয়ে নিজেরা পেট পুরে জল খেলে বা বাকী জ্বলটুকু মাটীতে ঢেলে ফেলে দিলে। এই জলহীন মরুপ্রান্তে ওইটুকু জলের মূল্য যে কি, তা এই হঠাৎ বড়লোক বৰ্ব্বরেরা কি জানাবে! জলটল খেয়ে তারা নিকটেই একটা ইণ্ডিয়ানদের কুটীরে ঢুকাল। যেন নিজেদের বাড়ী নিজেদেরই সব। কারুর কাছে অনুমতি নেওয়ার কথাটা পৰ্য্যন্ত ওদের মনে পড়ল না । বড় মেয়েটা একটা আধ-বোন কম্বল হাতে নিয়ে স্বতো খুলে খুলে দেখতে লাগল, জিনিষটা কি ভাবে তৈরী হয়েচে । মা দু’। একবার বারণ করলেন, কিন্তু বড়লোকের আদুরে মেয়ে সে কথায় কানও না দিয়ে কম্বলটার সুতো ছিড়েই চলেছে । দেখে আমার ভারী রাগ হল-আমি এগিয়ে গিয়ে মেয়েটাকে ঠেলতে ঠেলতে ঘরের বার করে দিয়ে বলুম-যাও, বেরোও এখান থেকে-টাকা হয়ে থাকে। অঙ্গ যায়গায় গিয়ে বড়মানুযি দেখাও গিয়ে, শরীবের কঁড়েতে কোেনা এসেড মেজাজ দেখাতে ! ওরা বিদেয় হল । কুটীরের কৰ্ত্ত আমার দিকে সকৃতজ্ঞ হাসিমুখে চেয়ে বল্লে-অথচ এরাই আমাদের অসভ্য বলে থাকে ৷”