বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরিজোনার মরুভূমি সম্প্রতি জনৈক মার্কিন মহিলা অশ্বগৃষ্ঠে একাকিনী আরিজোনার মরুভূমি অঞ্চলে প্রায় তিন চার হাজার মাইল ভ্ৰমণ করিয়া বেড়াইয়াছিলেন-মরুভূমিবাসী হোপি ও নাভাজো ইণ্ডিয়ানদের রীতি-নীতি পৰ্যবেক্ষণ করিবার জন্য। তঁর এই ভ্ৰমণ-বৃত্তান্ত খুব কৌতুহলপ্রদ। রেডইণ্ডিয়ানদের জীবন-যাত্রা প্ৰণালীর অনেক খুঁটিনাটি আমরা ইহা হইতে জানিতে পারি। র্তাহার লিখিত বৃত্তান্ত হইতে নিয়ে কয়েকটি স্থান উদ্ধৃত করা গেল। “অনেক দিন থেকে মনে সাধ ছিল আরিজোনার মরুভূমিতে গিয়ে নাভাজো ইণ্ডিয়ানদের দেখব। কোল কানিয়ন, মরুভূমির মধ্যস্থ একটি পাৰ্বত্য নদীখাত । একটি ইণ্ডিয়ান গ্রামের দৃশ্য ; পার্থে জনৈক গ্রামবৃন্ধ। মোটরগাড়ী চেপে ওখানে যাবার ইচ্ছা আমার কোন দিনই ছিল না। চিরকালই ভাবতাম যদি কোনো দিন যাই, ঘোড়ায় চেপে পুরানো দিনের পথ ধরে যাব-যে পথ ধরে একদিন আমার পূর্বপুরুষরা এসে দক্ষিণপশ্চিমের এই বিরাট মরুভূমি জয় করেন, এখানে উপনিবেশ স্থাপন করেন। गङउां-श्छे गश्ब्रज्ञ औदनांक|-@षांनी, गशष्ब्रज्ञ श्रांत्रश७|| আমার বিষের মত ঠেকে। তাই একদিন সত্য সত্যই ঘোড়ায় চেপে অজানার উদ্দেশে একা বেরিয়ে পড়লুম-তারপর যখন মুক্ত প্ৰান্তরে ঘোড়া ছুটুতে লাগল, মুক্ত হাওয়ায় তার কেশর ফুলে উঠাল-দুরে নীল অনাবৃত গঠিত পৰ্বতমালা দেখা গেল-তখন আমার মনে হল, জগতের সর্বাপেক্ষা বড় ধনীর সঙ্গেও আমি এখন ভাগ্য বিনিময় কৰ্ত্তে রাজি নই। বৈকালে আমি ইণ্ডিয়ানদের একটা গ্রামে পৌঁছলাম। এখানে অনেক প্রাচীন ধ্বংসস্তুপ আছে। কিছুক্ষণ এসব দেখে বেড়ানাে গেল। হঠাৎ মনে পড়ল, সামনে বিভীর্ণ মরুভূমি, আমার সঙ্গে জল তো বেশী নেই। খুজতে খুজতে একটা কুপ পাওয়া গেল। জনচারেক নাভাজো ইণ্ডিয়ান সেখানে ঘোড়াকে জল খাওয়াচ্ছিল—আমায় দেখে তারা খুব খুলি হল, দুটি বালক দড়ি-বালতি নামিয়ে দিয়ে RR