বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূস্বর্গ সোচিলিস ২২৩ জাহাজ যাবার রান্ত থেকে এই দ্বীপপুঞ্জ অনেক দূরে, মোম্বাসা থেকে প্রায় হাজার বারশে মাইল হবে। বিষুবরেখার চার ডিগ্ৰী দক্ষিণে সোচিলিস অবস্থিত, সবসুদ্ধ প্রায় নব্বইটি দ্বীপ, ছােটতে বড়োতে। এর মধ্যে মাহি সব চেয়ে বড়, LDB DBDDLL BBS DDB BB DD DS BDLBD BKD DB DBBBD S BBDD DBBBD DDD 夜督i爾1 মোম্বাসা থেকে রওয়ানা হওয়ার পাঁচদিনের দিন ভারত-সমুদ্রের অপার নীল জলরাশির দূর কোলে একটু সবুজাভ কালো বিন্দু ফুটে উঠলো-ওই হােল মাহি। যত জাহাজ কাছে এল, ডেকে দাঁড়িয়ে দেখলাম দ্বীপের সর্বত্রই পাহাড় পৰ্ব্বত মাথা খাড়া করে দাড়িয়ে, তালীবনরাজী, নীল বেলা স্পষ্টতর হয়ে উঠলো, ক্ৰমে দেখা গেল পোর্ট ভিক্টোরিয়ার সাদা সাদা ঘরবাড়ী, রান্তা, দোকান, হোটেল। যে মুহূৰ্ত্তে জাহাজ থেকে মোটর-বোটে উঠে চারি ধারে চাইলাম, তীরের ধূসর পর্বতশিখরের দিকে চাইলাম, চারিপাশে অকুল সুনীল সমুদ্রের দিকে চাইলাম-সে মুহূৰ্ত্তেই বুঝলাম মনে মনে আমি এই দেশেরই কল্পনা এতদিন করে এসেছি, আমার স্বপ্ন এতদিনে বাস্তবে পরিণত হয়েছে! লোকেরাও কি তেমনি সরল ! যে লোকটা মোটর-বোট চালাচ্ছিল, তার চেহারাটা ফ্রানজি হালসএর লাফিং ক্যাভাsegja, Laughing Cavalier-Qa ASমোটর চালাচ্ছে কি সিনেমা-ষ্টুডিওতে অভিনয় করছে তা বলা শক্ত। কাষ্টমাসএর কৰ্ম্মচারীরা ঘিরে দাড়ালো আমি বল্লামএকটু দাঁড়ান, ব্যাগের চাৰী খুলে দি । তারা বল্পে-থাক থাক, আর কষ্ট করবেন। না । আপনার কাছে কিছু নেই তো ? আমি বল্লাম-না কিছু নেই। ক্রিয়োল কৰ্ম্মচারীরা হেসে বল্লে-তবে চলে যান। কেন অত হাঙ্গামা কৰ্ত্তে যাবেন ? মনে মনে দৃঢ় বিশ্বাস হোল পৃথিবীতে যদি কোথাও স্বৰ্গ থাকে। তবে সে এই পোর্ট ভিক্টোরিয়াতে, যেখানে আইনের কড়াকড়ি নেই, নিয়মের বাধাবাধি নেই, যেখানে সবারই মুখে হাসি, সবাই ভদ্র, সবাই সরল। তারপর একজন এসে আমাকে ওখানকার হোটেলে নিয়ে যেতে চাইলে। দুধারে কালো কালো পাহাড় যেন দৈত্যপুরীর প্রাচীরের মত দেখাচ্ছিল। অন্ধকারে। আমরা সহরের বড় সদর রাস্তা ধরলাম। একটা ছোট ক্লকটাওয়ার, একজন পুলিশম্যান দাড়িয়ে আছে, রাস্তার ধারে বড় বড় গাছের সারি। হোটেল ছোট একটা সাদা বাড়ী, দোতলায় চারিধারে বারান্দা আছে । হোটেলের কৰ্ত্তা তখন সেখানে ছিল না, আমরা বারান্দাতে তার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। সহরের রাস্তায় খুব বেশী লোক চলাচল করছিল। •|- একদল নিগ্ৰেী হাসতে হাসতে চলে গেল, দুটি সুন্দরী ক্রিয়োল মেয়ে ফুল বিক্ৰী করছে, কয়েকজন ফরাসী খালাসী জেটীর দিকে চলেছে। সবাই হাসছে, সবারই মনে ফৰ্ত্তি, যেন কি একটা উৎসবের দিন সবারই। একটু পরে হোটেলের কৰ্ত্ত এল, সে-ও ক্রিয়োল, তবে ফরাসী বলতে পারে ভাল। সগর্বে আমায় জানালে সে একবার ইউরোপ পূরে এসেছে-প্যারিসে কিছুদিন ছিল, বিলেতেও গিয়েছে। এজন্য দেখলাম তার গর্বের অন্ত নেই। এ দ্বীপের অধিকাংশ লোকেই বড় একটা কোথাও যায় নি, যে এত দেশ দেখে বেড়িয়েছে, গৰ্ব তার কেনই বা না হবে ।