বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS3 和而西-西尔 ডিনারের টেবিলে সে সোচিলিস সম্বন্ধে অনেক গল্প করলে। এখানকার একটা দীপে জগদ্বিখ্যাত জোড়া নারিকেল ফলে, এক একটা নারিকেল সাধারণ ফুটবলের চেয়ে তিনগুণ বড় । পৃথিবীর আর কোথাও এ নারিকেল দেখা যায় না । লা ডিগ, দ্বীপের বড় কচ্ছপ কি আমি দেখেছি ? দেখিনি ? দেখবার জিনিষ, আমি যেন সে কচ্ছপ না। দেখে এ-দ্বীপ না ছাড়ি। মাহি ? মাছির মত এত সুন্দর জায়গা পৃথিবীর কোথায় আছে ? এ জায়গা ছেড়ে সে কোথাও যেতে রাজী নয় । আমার দিনগুলো কাটুতে লাগল স্বপ্নের মত। জ্যোৎস্না উঠে, বন্দরের নীলজলে নারিকেলবনের ছায়া পড়ে। সমুদ্রের ধারে শিলাখণ্ডের ওপর বসে কর্কশ নিগ্ৰেকণ্ঠের গান শুনি, ক্রিয়োল মেয়েরা সাতার দেয়-দিন কতক থাকুলাধ পরে মনে হোল আমি এই দ্বীপের একজন হয়ে গিয়েছি, কোথায় যাব এমন সত্যিকার ভুস্বৰ্গ ছেড়ে ! যে জনকয়েক ইংরেজের সাথে আমার আলাপ হয়েছে তারাও ঐকথা বলে। তার ব্যবসা উপলক্ষে অনেকদিন এসেছে এখানে, কিন্তু এমন জালে জড়িয়ে পড়েছে? আর কোথাও যেতে রাজী নয়, এ দ্বীপ ছেড়ে । সোচিলিসের সৌন্দৰ্য্য তাদের বন্দী করেচিত। ۔ ۔ منقسم s> ་ཚང་། ཨ་སམ་ , ༈ ་་་་་་་་་་་་་་ তার মধ্যে একজন লোক দু’বছর আগে এখানে এসেছিল একমাসের ছুটি নিয়ে মাছ ধরতে। দক্ষিণ আফ্রিকায় তার স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে আছে। এখানে এসে সে আর ফিরে যায় নি। তার স্ত্রী তার অপেক্ষায় এখনও আছে। সে যাই-যাই করছে আজ ছ’ বছর ধরে, কিন্তু যেতে পারে না। পোর্ট ভিক্টোরিয়াতে পচিশ শিলিংএ সপ্তাহ চলে যায়-দু পাউণ্ড যার সপ্তাহে আয়, সে রাজার মত থাকতে পারে। } সোচিলিস দ্বীপের উপকূলে অজস্ৰ নারিকল-বন, এক একটা গাছ দুশো। ফুটেরও বেশী উঁচু। আর কি অদ্ভুত সূৰ্য্যাস্ত! সূৰ্য্যাস্তের রঙে আর জ্যোৎস্নাভিরা রাত্রে এই নারিকেল-বনের সারি অবাস্তব বলে মনে হয়, যেন অন্য কোনো জগতে এসে পড়েছি মনে হয় ; কতদিন জ্যোৎস্নাশুন্দ্র সৈকতে একা বসে কাটিয়েছি-একদিকে নারিকেল বৃক্ষশ্রেণীর পত্ৰ-মৰ্ম্মর, সামনে অন্তহীন ভারত-সমুদ্রের তরঙ্গসঙ্গীত! তারপর একদিন ষ্টীমারে চেপে মাহি থেকে চলে এলাম। কয়েকবছর হয়ে গিয়েছে। পোর্ট ভিক্টোরিয়া বোধহয় স্বপ্ন। সত্যই কি আমি সেখানে ছিলাম ?”