মাগু, ইএর সেলুং জাতি বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্ণ কোণে, ব্ৰহ্মদেশ ও শ্যামের উপকূল হইতে কিছুদূরে মাগুই দ্বীপপুঞ্জ। এখানে ছোট বড় অনেক দ্বীপ আছে আর মাঝে মাঝে নিস্তরঙ্গ সমূদ্র, সুদূরের মত নিথর। এই সব দ্বীপে সেলুং জাতির বাস। সেলুংরা শাস্তিপ্রিয় জাতি, আগে ব্ৰহ্ম ও শ্যামদেশে এরা কৃষি ও পশু-পালন করতো, কিন্তু অনবরত যুদ্ধবিবাদে তারা দেশ ৬াড়তে বাধ্য হোল। এখন এখানে নৌকাতে বাস করে ও মাছ ধরে-এই তাদের উপজীবিকা । কিন্তু এখানে তারা নিরাপদ নয়। দুৰ্দ্ধৰ্য মালয় বোম্বেটেরা অনেক সময় অতকিতে তাদের আক্রমণ করে ছেলেমেয়েদের ধরে বেঁধে নিয়ে গিয়ে ক্রীতদাসরূপে বিক্ৰী করে, যথাসৰ্ব্বস্ব লুটপাট করে নিয়ে যায়। সুতরাং সেলুংদের দোষ দেওয়া যায় না, দুরে পালতোলা অপরিচিত জাহাজ দেখামাত্র নিজেদের জিনিষপত্র ও নৌকাসমেত চোপ পালটাতে না পালটাতে সেখান থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। সেলুং জাতির লোককে দেখা এজন্য খুব সহজসাধ্য নয়। এদের নৌকাকে কারাং বলে—একটা মােটা কাঠের গুড়িতে খোল করে নৌকল'ৰানায়। ওপরে মাদুর কিংবা কঁািপর- ཕྲ་ལྕེ་སོ་ ↑ब्रज्ञ পাল । ওড়ায়। 'ট্ৰেক মাঝখানে পাথর ও কাশ্নর উত্নীৰ বুৰঞ্জনাটুক্সের দশ : ; বারোটা পরিবারেক্টরান্না একত্র এক উর্দুনে হয়। এই আঁক্তি আদিম স্ত্রীতিতে তৈরী নৌকায় তাঁরা সচ্ছন্দে ও নিৰ্ভয়ে এক দ্বীপ থেকে অন্তৰীপে ঘুরে ব্লড়ায়, " বড় বৃষ্টি তুফান কিছুই গ্রাহ করে না, এঙ্ক একটা দলে দশ বাজ্ঞােটা নৌকী- “ থাকে, আবার ক্লিশ চল্লিশখনও একত্র : <--...--> 2=d দেখা যায়। 4 * : ' KS S YS LYS S BD DD উপজীবিকা। তাদের পুজির মধ্যে মাছ ধরার জাল, বর্শা, দড়িদাড়া, সামুদ্রিক কচ্ছপ ধরার সা র ধ্রুঞ্জাম । কচ্ছপের মাংস খুব ভালবাসে। চীনা সওদাগরী জাঙ্ক থেকে মাছ ও কচ্ছপের বদলে চাল নেয়। ভাত ও মাছ এদের প্রধান খাদ্য । সেলুংরা সঁতারে ভারী ওস্তাদ । জলে এরা বড় বড় সামুদ্রিক হিংস্র মাছ কি হাঙ্গর কি অক্টোপাসাসকলকে এড়িয়ে চলাবার কৌশল জানে। মাগুই দ্বীপপুঞ্জ প্ৰায় দুশো দ্বীপের সমষ্টি। এদের প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য বর্ণনা করা প্ৰায় অসম্ভব। নীল নিস্তুরঙ্গ সমুদ্রের মধ্যে মধ্যে এখানে ওখানে ছোট বড় দ্বীপ, গভীর অরণ্যে ভরা, অধিকাংশ দ্বীপই জনমানৰ হীন, শুধু পুনো শূয়োর, হরিণ, ও কালো বান্দর বনের মধ্যে থাকে। আর থাকে সমুদ্রের তীরে বড় বড় কচ্ছপ | মানুষ কখনো ‘দখেণি বলেই হোক বা যে জন্যেই হােক এই সব বান্দরের দল মানুষকে আদৌ ভয় করে না। বনে বনে নানা বিচিত্র পর্ণের পাখী দেখতে পাওয়া যায়। কোনো কোনো দ্বীপের উপকুল ম্যানগ্রোভের বনে ভৰ্ত্তি। ছোট ছোট ঘোলা-জলের খাল দ্বীপের মধ্যে চলে গিয়েছে-খাল বেয়ে নৌকা করে দ্বীপের মধ্যে ঢোকা যায়, কিন্তু ডাঙ্গায় নামা বিপজ্জনক, কুমীর ও বিষাক্ত সাপ সর্বত্র । সেলুংএরা জাতি হিসাবে বৈশিষ্ট্য আর বেশীদিন রাখতে পারবে না। সভ্যতার সংস্পর্শে এসে তারা বদলে ধাঁচ্ছে। অনেকে আফিং খেতে অভ্যাস করেছে, আফিং কিনতে হলে টাকা চাই-মাছের বদলে চীনা ব্যবসাদারেরা *if*ং দেয় না। তাই আজকাল অনেকে পিনাং ও সিঙ্গাপুরে কুলীগিরি ও মাঝিগিরি করে পয়সা রোজগার করে। &ỳ মার্কেলের পাহাড় ।
