বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b বিচিত্র 百分心 و& উপনিবেশ নেই বল্লেই হয়, প্রবাল সাধারণতঃ অগভীর জলের প্রাণী ! এমন ওস্তাদ ডুবুরী আছেন, ধারা হাজার ফুটও নামেন, কিন্তু অনভিজ্ঞ লোকের পক্ষে সে সব নিতান্ত বিপজ্জনক । সমুদ্রের মধ্যে পাহাড়-পর্বত আছে, গুহা-গহবর আছে। বে-কায়দায় ডুবুরীর পোষাকের কোনো অংশ কিংবা বাতাসের নল যদি এ সবে আটকে যায়, কি ধারালো পাথরে লেগে কেটে যায়, তবে অনভিজ্ঞ লোক প্ৰাণ নিয়ে ফিরতে পারে না, অভিজ্ঞ ডুবুরী বাঁচলেও বাঁচতে *iद्ध। প্রথম কয়েকবার নামবার পর আমার মনে হল এই বিচিত্র প্রাণীদের কিছু নমুনা সংগ্ৰহ করে আনা দরকার। বা ওদের আকৃতি-প্রকৃতি সম্বন্ধে কিছু লেখা দরকার, জলের তলায় বসেই যাতে লিখতে পারি। এ জন্তে ওয়াটারপ্রািফ কাগজ, দস্তার পাত নীচে নিয়ে গেলাম সঙ্গে। এতে লেখার কোনো অসুবিধা হয় না, মনে হয় যেন ঘরের টেবিলে বসে লিখচি ৭। পেন্সিল দড়ি দিয়ে শক্ত করে হাতের সঙ্গে । বেঁধে নিতে হয়, নৈলে জলের চাপে পেন্সিলের কাঠ আলাদা হয়ে ওপরে ভেসে ওঠে, আর সীসেটা জলে ডুবে যায়। জলের তলায় ক্যামেরা নিয়ে কতবার ফটো তুলেচি, শক্ত কাচাবসানো আঁটাসাটা পেতলের বাক্সের মধ্যে ক্যামের নিয়ে যেতে হয়, বিশ ফুট পৰ্য্যন্ত বেশ আলো থাকে, তারও নীচে গিয়ে তুলতে হলে কৃত্ৰিম আলোর ব্যবহার করা দরকার হয় । এই উপায়ে জলের তলাকার প্রাণী জগতের কত ফিল্ম তোলা হয়েচে । অনেক চিত্ৰ-শিল্পী এখানকার ছবি আঁকেন। তার জন্যে বিশেষ ধরণের ক্যানভাস, কাগজ, রং প্রভৃতি কিনতে পাওয়া যায়। মাছের ঝাক তাড়াবার জন্যে শিল্পীর কাছে আর এক জন মোতায়ন থাকা দরকার, নৈলে রংয়ের গন্ধে বঁকে ঝাঁকে মাছ এসে বড় বিরক্ত করে, ঠুকরে ক্যানভাস ফুটো করে দেয় । = معصم۔ সমুদ্রের তলায় প্রবালদের মধ্যে বসে। এ ধরণের ছবি কতবার তুলেচি। কি অপূৰ্ব্ব বর্ণ বৈচিত্ৰ্য সেখানকার । হাঙ্গর বা অক্টোপাসের ভয় কখনো is arex. . . & Iwex^* Yr. করিনি। তবে এক ধরণের ছোট সোনালী মাছে বড় উইলিয়ন বিব সমুদ্রতলে নোট টুকিতেছেন। ঠুকরে নেয়, নতুন ধরণের জীব দেখে তাদের কৌতুহলের অবধি থাকে না, ঠুকুরে ঠুকরো পরখ করে দেখতে চায় এরা কি ধরণের জীব। সমুদ্রের তলায় আপনার বাগান করার সখ আছে ? আমি কতবার করেচি। একটা ঢালু জায়গা ঠিক করুন, ত্রিশবান্ত্রিশ ফুটের নীচে যাবেন না । একটা কুড়ুল কিংবা বড় ছুরির সাহায্যে পছন্দমত নানা বর্ণের প্রবালের ডালপালা কেটে এনে ওখানে বসিয়ে দিন, পাহাড়ের ফাটল হলে ভাল হয়, নতুবা জলের তোড়ে ভেসে যেতে পারে। কিছুদিন পরে ফিরে এসে দেখবেন আপনার বাগানে বিচিত্র বর্ণের প্রবাল ফুটে আছে, তাদের ডালপালার মধ্যে কত রকমের ছোট ছোট মাছ খেলা করে বেড়াচ্ছে, যেন রঙিন প্ৰজাপতির বাক! নানা রঙের ঝিনুক খুঁজতে হলে একটা অক্টোপাসের