বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

აჯეხr ,ffö面-否宋 গুয়ানে পাখীর বাক শিকার অন্বেষণে অনেক সময়ে বহুদূর সমুদ্রের মধ্যে গিয়া পড়িলেও সমুদ্রের মধ্যে তাহারা কখনো রাত্রি যাপন করে না-পেলিকান জাতীয় পাখীদের মত । ডাঃ কোকার লিখিয়াছেন, “আমি অনেক সময় গুয়ানে পাখীর বাক দূর সমুদ্র হইতে ফিরিতে দেখিয়াছি।--বেলা দুইটার সময় বাকের প্রথম পাখী দেখা দিল এবং শেষের দলটি যখন তীরে আসিয়া পৌছিল তখন রাত্ৰি প্ৰায় সাতটা ।” অনেক সময় তিন চারটি দীর্ঘ শ্রেণীতে বড় বাকটি বিভক্ত হইয়া যায়-প্ৰত্যেক শ্রেণীতে একজন দলপতি আগে আশে পথপ্ৰদৰ্শক ভাবে থাকে-শ্রেণীগুলির মধ্যে ১০১৫ গজ তফাৎ থাকে, কখনও বা বেশী । গুয়ানের শত্রু অনেক। তীরবত্তী পাখীদের ছানা ও ডিম অধিকাংশ সময়ই জলসিংহ sea lionএর সুখাদ্য । গভীর রাত্রে চুপি চুপি জল হইতে উঠিয়া প্রায়ই ইহার। ছোট ছোট ছানাগুলিকে খাইয়। ফেলো-সুবিধা পাইলে ধাড়ী পাখীও বাদ দেয় না-ডিমগুলি কতক খাইয়া ফেলে, কতক শরীরের ভারে ভাঙিয়া ফেলে, কতক শরীরের ভারে ভাঙিয়া চুরমার করিয়া দেয়। ছানাগুলির গায়ে অনেক সময় একপ্রকার উকুন জন্মায়, তাহদের উৎপাতে ছানাগুলি বাড়িতে পারে না, রোগগ্ৰস্ত হইয়া মারাও পড়ে। সিন্ধুশকুন ও কণ্ডাবু নামে সুবৃহৎ শিকারী পক্ষীও ইহাদের ভয়ানক ভক্ত। অনেক সময় ইহাদের উৎপাতে ধাড়ীপাখীর বাক ছানা ও ডিম ফেলিয়া পলাইয়া যায়-বহু দূৱ পৰ্যন্ত তীরভূমি জুড়িয়া শুধু দেখা যায় ভাঙা ডিমের খোলা ও ছানার রক্তাক্ত মৃতদেহ । এই অবস্থায় একটা কণ্ডাবু পাখীকে গুলি করিয়া মারা হইয়াছিল- তার পাকস্থলী হইতে ষোলটা ডিমের শ্বেতসার ও হরিদ্রাংশ পাওয়া যায়। কিন্তু একটুকরাও ডিমের খোলা श्रीi७भः। शांश महे । ধাড়ী পাপীরা ছানাদের জন্য খাদ্যদ্রব্য গলার মধ্যে পুরিয়া আনে এবং পিতামাতা ফিরিয়া আসিলে ছানারা তাহাঁদের গলার মধ্যে মুণ্ড পুরিয়া দিয়া খাবার বাহির করিয়া খায়। গুয়ানে পাখীর ছানা মানুষ দেখিয়া ভয় পায় না, বরং মানুষ দেখিলে কৌতুহলের দৃষ্টিতে কাছ ঘেঁসিয়া আসে আরও ভাল করিয়া দেখিবার জন্য। পনেরো বৎসর পূৰ্ব্বেও যেরূপ অবস্থা ছিল, সেরূপ অবাধ শিকার ও ডিমসংগ্ৰছ এখনও চলিতে থাকিলে এতদিন গুয়ানো পাখীর বংশ নিৰ্ম্মল হইয়া যাইত। কিন্তু ১৯১৮ সালে পেরু গবৰ্ণমেণ্ট আইন দ্বারা গুয়ানে পাখীর ডিমসংগ্ৰহ ও শিকার অনেকটা নিয়ন্ত্রিত করিয়াছেন। বৎসরের মধ্যে কয়েক মাস ভিন্ন অন্য সময় গুয়ানের বাসস্থানে যাওয়াও আইনানুসারে নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয়। পাখীদের পরিরক্ষণ ও গুয়ানো ব্যবসায় সুপরিচালনার উদ্দেশ্যে ঐ সালে জাতীয় গুয়ানো পরিচালন National Guano Administration নামক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। ইহার কৰ্ম্মীগণ সকলেই পেরু গবৰ্ণমেণ্টের বেতনভুক্ কৰ্ম্মচারী। পাখীদের মধ্যে সংক্ৰামক রোগ যাহাতে ছড়াইয়া না পড়ে বা রোগ দেখা দিলে তাহার উপযুক্ত চিকিৎসা হয়-এজন্য কয়েকজন অভিজ্ঞ পক্ষীতত্ত্ববিদ চিকিৎসক নিযুক্ত করা হইয়াছে। এই সমিতির উদ্যমে গুয়ানো ব্যবসায়ের যথেষ্ট উন্নতিও সাধিত হইয়াছে-যেখানে ১৯১৪ সালে পেরু হইতে ২৫,• • • টন গুয়ানো বিদেশে রপ্তানী হইয়াছিল সে স্থলে দশ বৎসর পরে ১৯২৪ সালে ৯০,০০০ টন গুয়ানো রপ্তানী হইয়াছিল। বর্তমানে গুয়ানো ব্যবসায়ের আরও উন্নতি হইয়াছে।