বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३१७ বিচিত্র-জগৎ মেঘের পর্দা । আমার আরও ওপরে, প্ৰায় মাইল খানেক ওপরে আর একটা ঘন মেঘের স্তর, সেটা ভেদ ক’রেও এখান দিয়ে ওখান দিয়ে সুৰ্য্যের আলো এসে আমার যন্ত্রের ওপর পড়ছিল। মিটারে দেখি প্ৰায় ১১০০ ফুট উঠেছি। “হঠাৎ মেঘ সরে গেল। নীচে চেয়ে দেখি আমি সমুদ্রের উপর উড়ছি। যন্ত্রটা চালিয়ে তীরের ওপর নিয়ে গেলাম । সেখানে কাদের একখানা ছােট কাঠের ঘর। একটি ছোট ছেলেকে তার মা খুব প্ৰহার দিচ্ছে। আমি “হেলো !” বলে চীৎকার করে উঠলাম। মা চম্কে ওপর দিকে চেয়ে দেখলে, ছোট ছেলেটা এই অবসরে টেনে দিলে দৌড় । মা খপ করে বালির ওপর বসে পড়ল-আমি তাদের १० भूल्ने भाद्ध ७१ङ्ग हिब्र छैrङ्ख्य " চললাম। গো-চালিত বোমযান নয়, গরু দ্বারা গ্লাইডারকে টানা হইতেছে মাত্র। একটু পরেই দেখি একটা প্রস্তরময় অন্তরীপ-সেটা ঘুরে যাওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক মনে হোল, কারণ তখন আমার যন্ত্রটা মাটী থেকে মোটে ত্রিশ চল্লিশ ফুট ওপরে কিন্তু অন্তরীপের কাছাকাছি গিয়ে আমার যন্ত্র আরও নামতে লাগল। জলের দিকে সরে গেলাম, বা দিকে আমার যন্ত্রের ডানা ঘোসে খাড়া পাহাড় ঠেলে উঠেছে, আমার নীচে সমুদ্র, তখন আমি জলের বারো ফুট মাত্র ওপরে, ঢেউ ছিটকে জল গায়ে লাগছে । কোনো রকমে চোখ বুজে অন্তরীপ পার হয়ে . . . গেলাম। বিপদ কেটে গেল, নীচে বালুময় সমতল সৈন্যুত: ভূমি, অনেক লোকে সমুদ্রে স্নান কচ্ছে, ছেলেমেয়ের খেলা - ! কচ্ছে, সমুদ্রতীরে চেয়ার পাতা, একটু দূরে গোটাকতক -1 হােটেল। . আমি ধীরে ধীরে নামালাম । চাাৱধার থেকে লোক* জন ছুটে এল, আমার ওপরে চারিদিক থেকে নানা প্রশ্নবাণ বৰ্ষিত হ’তে লাগল। কেউ জিগ্যেস কৰ্ত্তে লাগল আমি আমেরিকা থেকে আসছি কিনা, কেউ বল্পে আমার এরোপ্লেনের এঞ্জিন কৈ ? কাষ্টমস-এর একজন কৰ্ম্মচারী এসে আমার পাসপোর্ট দেখতে চাইলে। তারপর যখন আসল ব্যাপারটা সবাই শুনলে, তখন তারা আমায় নিয়ে খুব হৈ চৈ সুরু করে দিলে, এ নাচের নিমন্ত্রণ করে, ও ডিনারের নিমন্ত্রণ করে। আমি কিন্তু মনে মনে ভাবছিলাম আমার বিপদাপূর্ণ অভিজ্ঞতার কথা। আর একটু হোলেই সমুদ্রে ডুবে যেতে বসেছিলাম।” মোটর বিহীন বাইপ্লেন : ডাচ, বৈমানিক কোকারের আবিষ্কার।