বিধবারধৰ্ম্মর ক্ষা । ৩৯ কথা বলিলেই পরাশরকেও প্রাপ্ত হওয়া যাইভ, তথাপি পরাশর শব্দ দেওয়াতে পরাশর শব্দটী উদ্বৃত্ত হইল । উদ্বত্তোহিগ্রন্থঃ সমধিক ফলমাচষ্টে । • গ্রস্থ উদ্ধ স্তু হইলেই অর্থাৎ যে শব্দ না দিলেও হয় সেই শব্দ • দেওয়া হইলে উদ্বত্ত বলা যায় তাহাতে তাধিক কোন ফলকে বুঝায় । e এই নিমিত্ত পরাশর সংহিতার টীকাকার যে মাধবাচার্য্য তিনি কিঞ্চিৎ তাধিক ভাব ব্যাখ্যা করিয়াছেন ; যথা । পরাশর গ্রহণং কলিযুগাভি প্রায় কং | সৰ্ব্বেম্বে ল কল্লেব পপ শৈল স্মৃতেঃ ॥ কল্লিযুগ ধৰ্ম্ম পক্ষপাতিত্বাৎ প্রায়শ্চিত্তেম্ব:প । कन्नै३िभगजू পরাশ পঃ প্রাধানো নগদ বণীয়ঃ ॥ পরাশরের নাম গ্রহণ কলিযুগাভি প্রায়ে সকল কপেই পরীশরন্থতি কলিধৰ্ম্মের পক্ষপাতি অর্থাৎ অন্যান্য যুগের ধৰ্ম্মও কথিত হয়, কিন্তু কলি ধৰ্মই বিশেষ ৰূপে কন, তমি মিত্ত্বে কলি যুগের প্রায়শ্চিও বিষয়েও পরাশরকে প্রপান করিয়া মান্য করিতে হইবে । ভাষ্যকার মাধবুiচাৰ্য্য যে ভােব ব্যাখ্যা করিলেন, এতন্মধ্যে বলিলেন যে পরাশরের স্মৃতি কলিধর্মের পক্ষপাতি । আর একটা শবদ প্রয়োগ করিলেন যে,একলিযুগের প্রায়শ্চিত্ত—বিষয়েও পরাশরকে প্রধান করিয়া অাদর করিতে হইবে ; এই দুই বাক্যের দ্বারা সুস্পষ্টই বোধ হইল যে পরাশর চার যুগের ধর্মই নিবন্ধপণ করিয়াছেন ; তাহার কারণ ক্রমশঃ বিৱেচন করন । এই পক্ষপাতি শব্দের এমন স্থলেই সকলকে প্রয়োগ করিতে দেখা যায় যেস্থলে কোন ব্যক্তি কিম্ব কোন, কথা দুই তিন পক্ষ অবলম্বন করিয়া অাছে, তন্মধ্যে এক পক্ষের দপুর যদি অধিক আগ্রহ দুষ্ট হয় তবেই সে ব্যক্তিকে পক্ষপাতি • ব্যক্তি কি সে কথাকে পক্ষপাতিনী কথা বলা যায়, মধ্যস্থ কিম্ব বিচারপতির এক পক্ষে আগ্রহ দেখিলেই তাহার প্রতি, .পক্ষপাতি শব্দের প্রয়োগ হয়, নতুবা এক পক্ষমাত্রকে অবলম্বন করিয়া যে থাকে".
