বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিবিধ সমালোচন (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়).pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৬
বিবিধ সমালোচন।

ষতঃ মুখশ্রী, সুবিখ্যাত ভাস্করবিদ্যা-বিশারদ কানরা কৃত মূর্ত্তি সকলের তুল্য।”

 তৃতীয় শ্রেণীর স্থাপত্যের প্রধান উদাহরণ, ভুবনেশ্বর। আবু পর্ব্বতস্থ জৈন মন্দিরের অভ্যন্তরস্থ অলঙ্কার সম্বন্ধে শ্রীমাণি বাবু লিখিয়াছেন, যে তাহার সাদৃশ্য বোধ হয় ভূমণ্ডলে আর কুত্রাপি দৃষ্ট হয় না।

 “বিখ্যাত ফরগুসন সাহেব বলিয়াছেন যে, এরূপ বহ্বাসসম্পন্ন এবং বিশুদ্ধ রুচির অনুমোদিত স্থপতি কার্য্য বোধ হয় আর কুত্রাপি নাই এবং উক্ত মহাত্মা ইহার চাঁদনী লক্ষ্য করিয়া কহিয়াছেন যে, সে কৃষ্ণফর রেনের লণ্ডন প্রভৃতির সুবিখ্যাত ধর্ম্মমন্দির সকল এই জৈন চাঁদনীর সহিত সৌসাদৃশ্য সম্পন্ন হইলে আরও উৎকৃষ্ট হইত। এই কীর্ত্তি ১০৩২ খ্রীঃ অব্দে নির্ম্মিত হয়। ইহাতে ১৮০০০০০০০ অষ্টাদশ কোটী টাকা এবং চতুর্দ্দশ বর্ষ সময় বায়িত হইয়াছিল।”

 ভারতবর্ষীয় ভাস্কর্য্যের দুইটা মাত্র দোষের উল্লেখ আছে, বিজনতা এবং আলোকাভাব।

 ভারতবর্ষীয় ভাস্কর্য্যের গৌরব, স্থাপত্য গৌরবের ন্যায় নহে, তথাপি আমাদিগের প্রাচীর ভাস্কর্য্য, আধুনিক দেশী ভাস্কর্য্যাপেক্ষা সহস্র গুণে প্রশংসনীয়।

 শ্রীমাণি বাবু কয়েকটি উদাহরণের বর্ণনা করিয়া লিখিয়াছেন।

 “বর্ত্তমান গবর্ণমেণ্ট শিল্প বিদ্যালয়ের সুদক্ষ অধ্যক শ্রীযুক্ত লক সাহেব মহোদয় ভূবনেশ্বরান্তর্গত এক মন্দিরভিত্তিতে একটী দুর্গাদেবীর মূর্ত্তি দেখিয়া চমৎকৃত হইয়াছেন, তিনি বলেন যে ইহা কোমল ও সুখস্পর্শ রক্ত মাংসে গঠিত বলিয়া প্রতীয়মান হয় না। বাস্তবিক অস্মদ্দেশীয়