পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চদশ খণ্ড.djvu/৫৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যবদ্বীপ ( :R ) যবদ্বীপ ফটিক উপস্থিত হইয় অধিবাসিগণকে বিশেষ বিপদগ্ৰস্ত ও উংপীড়িত করিয়া থাকে। + ভূ-তাত্বিক পরীক্ষায় নির্ণীত হইয়াছে যে, যবদ্বীপে খনিজধাতুর একান্ত অভাব। সুবর্ণ অতি অল্প পরিমাণে দৃষ্টিগোচর ৩য় । সীসক, দস্ত এবং তাম্র দুষ্ট এক স্থল ভিন্ন অস্তত্ব পাওয়া যায় না। কয়ল। অনেক স্থলে আছে, কিন্তু প্রচুর পরিমাণে উত্তোলিত হয় না। ১৯০০ খৃষ্টাব্দ পর্য্যস্ত যবদ্বীপে ১১০৬ মাইল রেলপথ বিস্তৃত হইয়া কয়লা উত্তোলনকাৰ্য্য চালতেছে। আইওডিন, গন্ধক এবং লবণ কোন কোন স্থলে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। ঘবদ্বীপ উদ্ভিজ্জসমুদ্ধিতে পৃথিবীর সকল দেশকেই পরাজিত করতে পারে। ভূমির উর্বরতাই ইহার অন্ততম কারণ। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্রাম এবং জনাকীর্ণ প্রকাও নগরগুলি ও তরুরাজি দ্বার সমাচ্ছন্ন । উদ্ভিদবিদ্যবিদ পণ্ডিতগণ যবদ্বীপের উদ্ভিজ্জশ্রেণীকে চারি ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন। সমুদ্রতার হইতে ২• • • ফুট উচ্চ ভূভাগের বৃক্ষলতা একশ্রেণীর অন্তর্গত । এই বিভাগকে উষ্ণ প্রধান বিভাগ কহে । ২০ • ০ হইতে ৪০ ০০ ফুট পৰ্য্যস্ত নাতিউষ্ণ বিভাগ এবং এই স্থান হইতে ৭৫• • ফুট পৰ্য্যস্ত শান্ত বিভাগ, ইহা অপেক্ষ উচ্চতর স্থানসমূহ শীতপ্রধান উদ্ভিজ্জবিভাগ বলিয়া পরিগণিত । কিন্তু প্রথম বিভাগেই প্রায় যবের ছু অংশ ব্যাপিয়া আছে। তারভাগে অশ্বথ, বট ও নীপবৃক্ষের প্রাচুর্য্যই লক্ষিত হয়। নিম্নভূমিতে প্রচুর পরিমাণে ধান্ত, ইক্ষু, দারুচিনি, তাল ও কার্পাস জন্মে। এতদ্ব্যতীত সমুদ্রোপকূলে নারিকেল এবং তালবৃক্ষেরহ বিশেষ আধিক্য দেখা যায়। বাপী এবং গুড়াগাদি কুমুদ, কহলার ও কমলরাজিতে অলঙ্কত । সুদীর্ঘ বিল সকল আলাঙ্গালাং’ নামক দীর্ঘ তৃণে সমাচ্ছন্ন । মধ্যে মধ্যে ভূরি পরিমাণে বঁাশবনও আছে। মালভূমি সকলে কাফ এবং চ প্রচুর পরিমাণে জন্মে এবং ভুট্ট ও জনার উৎপন্ন হয় । এই ভূভাগের অরণ্যসকল প্রকাও প্রকাও বনম্পতিতে পুণ এবং দার্থগুন্মে সমাচ্ছন্ন । তৃতীয়স্তরে নানাiবধ ভারতীয় শস্ত, কপি, গোলআলু এবং তামাক উৎপন্ন হয়। চতুথ স্তরে যে সকল উদ্ভিজ্জ দেখা যায়, তাহ যুরোপের শীত প্রধান স্থানের অক্ষুরূপ । পর্যটকগণ একবাক্যে বলেন যে, যবদ্বীপের ; অংশ ভূমি এখনও দুর্তেম্ভ অরণ্যাকাণ। দক্ষিণাংশে বণ্টমের নিকটবৰ্ত্তী স্থানে এখনও অনাবিষ্কৃত মহারণ বিরাজ করিতেছে। ঐ বনে ১২০ ফুট পৰ্য্যস্ত উচ্চ বৃক্ষ দেখিতে পাওয়া যায়। বাস্তুকি এবং অৰ্জ্জুন পৰ্ব্বতে অনেক প্রকাও মহীরুহু বিম্বমান আছে। রসমালা নামক বৃক্ষের ৬• হাত উচ্চে শাখা"প্রশাখ বহির্গত হয়। নানাস্থানে রক্তবর্ণের সুন্দরী কাষ্ঠ পাওয়া ধায়। তগল, সমরং, জাপার প্রভৃতি স্থানে ২৩০ • বর্গমাইল স্থান সেগুণ বৃক্ষে আচ্ছন্ন। কেবল এই সেগুণ কাষ্ঠ বিদেশে রপ্তানী হইয়া থাকে । তদ্ভিন্ন অন্তান্ত কাষ্টের আজিও রাতিমত বাণিজ্য হয় নাই । উৎপন্ন এবং কৃষির মধ্যে এখানে ধান্তই লক্ষ্মীর অনন্তভাণ্ডারস্বরূপ। লক্ষ্মীদেবী বা শ্ৰীদেবী ( ধান্তাধিষ্ঠাীে ) সম্বন্ধে অনেক আখ্যায়িক প্রচলিত আছে। ধান্তাধিষ্ঠাত্রী দেবীর পুজা সৰ্ব্বত্রই প্রচলিত। যবদ্বীপে চারিশত বৎসরের অধিককাল মুসলমান ধৰ্ম্ম প্রচলিত হইয়াছে। অধিবাসিগণ শিব, বিষ্ণু ও বুদ্ধের উপাসনা পরিত্যাগ করিয়া কোরাণের কলম পড়িয়াছে ; কিন্তু তথাপি তাহার ধনধান্তাধিষ্ঠাত্রা লক্ষ্মীর পুজা পরিত্যাগ করিতে পারে নাই । আজিও লক্ষ্মীপুজার পুরোহিতগণ মহম্মদের অপেক্ষ উচ্চপদবী অধিকার করিয়া আছেন । শরৎকালে ( বোধ হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজার সময়ে ? ) যবদ্বীপের অধিবাসিগণ মহাসমারোহে ধনধান্তদায়িনী কমলবাসিনী লক্ষ্মীদেবার পুজা করিয়া থাকেন। পূজার সময়ে উপাসকগণ যুগপৎ বিসমিল্লা-মন্ত্র এবং লক্ষ্মীর স্তব উচ্চারণ করিয়া থাকেন। কৃষকগণ হলচালনা এবং শস্ত কৰ্ত্তনবিষয়ে শুভদিন দেখিয়া কার্য্য আরম্ভ করে । সাধারণতঃ শুক্রবারেই প্রথম হলচালনা আরন্ধ হয়। ক্ষেত্রের মধ্যভাগে যাইতে হইলে প্রথমে দক্ষিণ হইতে উত্তরদিকে চাষ দিতে হয় ; ঐ সময়ে রীতিমত নৈবেদ্যাদি লষ্টয় তাহার ক্ষেত্রে পুজাদিও দিয়া থাকে। ঘবদ্বীপে শতকরা ৪• বিঘা ভূমিতে শস্ত উৎপন্ন হইরা থাকে । কৃষিকাৰ্য্য সাধারণতঃ তিনভাগে বিভক্ত। গবৰ্ণমেণ্ট-সংক্রান্তকৃষি, ব্যবসায়ীদিগের বা ভূস্বামিগীণের অনুষ্ঠিত কৃষি এবং প্রজাসাধারণের অনুষ্ঠিত কৃষি । সাধারণের নিকট যেমন ধান্তের চাস আদরণীয়, গবর্ণমেণ্টের নিকট কাফির চাষ তদ্রুপ যত্নের সহিত অমৃষ্ঠেয় । ধান্ত ভিন্ন অন্তান্ত শস্তের মধ্যে ভুট্ট, মাটবাদাম,চুবড়াআলু প্রভৃতি দ্রব্যই প্রধান । বিবিধ ফল বৃক্ষের চাষের মধ্যে কদলীই সৰ্ব্বাপেক্ষ। বিখ্যাত। তজ্জন্তু এখানে নানাপ্রকার উৎকৃষ্ট কদলী ও নারিকেল বৃক্ষ রোপিত হইয়া থাকে এবং সৰ্ব্বত্রই উহা প্রচুর পরিমাণে জন্মিতে দেখা যায় । পূৰ্ব্বে যবদ্বীপে কাফি ছিল না। ১৬৯৬ খৃঃ মলবর खेश्रृङ्कण श्हेप्ड यहे श्राप्न गर्र-2श्वभ काकि आनौठ श्य, কিন্তু ভূমিকম্প ও বন্যায় তাহ ধ্বংস প্রাপ্ত হয় ; পরে ১৬৯৯ধৃঃ ছেণ্ডিক জাঞ্জিকুল নামক এক ব্যক্তি এখানে কাফির