পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিনকুলি খ { ৩২২ ] ििम সেনাপতি সাহর বিরাগভাজন হইবা তাহার শরণাপন্ন হইলে তিনি তাহাকে আশ্রয় ও পারিতোষিক প্রদান করেন । ইনি হাইদ্রাবাদের নিজাম বংশের প্রতিষ্ঠাভা । ( ०१»8-०१२०) भूडेरिक निर्झौग्न ममांहऐब्र फ़ेनब्र नब्रनদ্বয়ের একাধিপত্যে বিরক্ত হইয়া তিনি মাnবদেশের শাসনকর্তৃত্বপদ পরিত্যাগপূর্বক সমুদায় দক্ষিণাপথের অধীশ্বর হইবার চেষ্টা করেম। তিনি খাদেশ লুণ্ঠন ও তৎবিরুদ্ধে প্রেরিত মোগলসৈন্যদিগকে বুরহানপুর নামক স্থানে সম্পূর্ণ রূপে পরাস্ত করেন । মোগল সেনাপতি দিলাবার আলি খ এই যুদ্ধে নিহত হন। পরে মহারাষ্ট্রসৈন্ত-সেনাপতি আলমআলি খার অধীনে নিজাম-উলমুলকের বিরুদ্ধে যাত্রা করেন । বালাপুর নামক স্থানে সেনাপতি শমন সদন গমন করেন । যাহা হউক অল্পদিন মধ্যেই, দিল্লীতে সৈয়দদিগের আধিপত্য ধ্বংস হয় এবং সম্রাট্র মুহম্মদ শাহ তাহাদিগের করকবল হইতে মুক্তিলাভ করেন। চিন্‌কিলিচ খাও তৎকালে দাক্ষিণাত্যের স্থায়ী রাজপ্রতিনিধি নিযুক্ত হয়েন এবং স্বাধীনভাবে রাজত্ব করিতে থাকেন। কিন্তু সম্রাটের সহিত তাহার মনোমালিন্ত রহিয়াই গেল । ১৭২৭ খৃষ্টাম্বে নিজামউলমুলক মহারাষ্ট্রদিগের ক্ষমতা পুনরুদ্দীপ্ত হইতে দেখিয়া বড় শঙ্কিত হইলেন । তিনি নানা কৌশলে তাহাদিগকে বশীভূত করিয়া হায়দ্রাবাদ নগরে রাজধানী স্থির করিলেন । ১৭২৮ খৃষ্টাব্দে পুনরায় পেশবার বাজীরাওর সহিত তাহার ঘোরতর যুদ্ধ হয়। শম্ভুজী এই সকল যুদ্ধে তাহাকে সাহায্য করেন । কিন্তু বাজীরাওর যুদ্ধনৈপুণ্যে নিজামউলমুলক সন্ধির প্রস্তাব করিতে বাধ্য হন। বাজীরাও সন্ধির প্রস্তাব অমুমোদন করেন। সন্ধির শর্ত এই—শভূজীকে তাম্বুতে পাঠাইতে হইবে । ভবিষ্যতে মহারাষ্ট্রদিগের অংশ মত রাজস্ব সংগ্রহ সম্বন্ধে কোনরূপ প্রতিবন্ধক না হয়, এই জন্ত কতিপয় মুদৃঢ় চুর্গ প্রতিভূস্বরূপ রাখিতে হইবে এবং বাকী রাজস্ব আদায় করিয়া দিতে হইবে । নিজামউলমুলক প্রথমট ভিন্ন অপর দুটতে সম্মত হন ; পরে বাজীরাও শম্ভুজীকে তাহার তাৰু হইতে নিরাপদে নিজামউলমুলক সমীপে প্রেরণ করিতে সন্মত হওয়ার, তিনিও তৎপ্রস্তাব অনুমোদন করেন । তদনন্তর তিনি কখন মহারাষ্ট্রগণের সহিত সস্তাব কখন বা অসম্ভাবে কাটাইয়। ১৭৪৮ খুষ্টাব্দ পর্য্যন্ত দাক্ষিণাত্যে স্বাধীনভাবে রাজত্ব করেন । ১৭৪১ খৃষ্টাব্দে কার্য্যোপলক্ষে তাহাকে দিল্লী যাত্রা করিত্তে হয়, কিন্তু তথায় কিছুদিন অবস্থানের পর উাহার পুত্ৰ নাসির مسجيج জজের ৰিজোহবার্তা শুনিয়া সম্বরে দাক্ষিণাত্যে প্রত্যাৰত্ত্বন করেন। ১৭৪৮ খৃঃ তাছার মৃত্যু হয়। - চিনমস্কোষ, মাজাজ প্রেসিডেন্সীয় কড়াপাজেলার রায়চার্তা তালুকের অন্তর্গত একটী সহয় । অক্ষা" ১৩ ৫৬ উঃ, গ্রাখি" চিনা (দেশজ ) ১ নিদর্শন। ২ পরিচিত। চিনি, মধুর জাম্বাদবিশিষ্ট পাখৰিশেষ। অতি প্রাচীনকাল হইতে ভারতবর্ষে চিনি ব্যবহৃক্ত হইয়া জাসিতেছে । রামায়ণ মহাভারতাদি গ্রন্থে স্তাহার বিস্তর গ্রমাণ পাওয়া যায় । ( রামায়ণ ২১ ও ১৬৭, ভারত ১২২৮৫৷৪৪, স্বশ্ৰত ১৪৫ তমঃ । ) সংস্কৃত শর্করা, খণ্ড, গুড়, প্রভৃতি শব্দ হইতেই যে আরবী কণ্ড, মলয় গুল, পারসী শঙ্কর প্রভৃতি শর্করাৰাচক শব্দ উৎপন্ন হইয়াছে তাহাতে সন্দেহ নাই। এছাড়া গুড়, শর্করা, গুড়োস্তুবা, পিতা, মিষ্ট, ইক্ষুসার, বালুকাত্মিক ইত্যাদি গুড়ের সংস্কৃত পৰ্য্যায় দৃষ্ট হয় । লাটিন শঙ্করম, ফরাসী সুকার ও ইংরাজী সুগার শব্দের সহিত সংস্কৃত শকরা শব্দের সমান সোসাদৃশু আছে। সংস্কৃত গ্রন্থে ধগুমোদক, থও, মাক্ষিক শর্করা, উপল, শুক্লোপলা, শর্করা, সিতাথ গু, দৃঢ়গাত্রিক ইত্যাদি চিনির সংস্কৃত নাম দৃষ্ট হয় । এতদ্বারা অনুমান হয়, ভারতবর্ষ হইতেই চিনির ব্যবহার চতুৰ্দ্দিকে বিস্তৃত হইয়াছিল। প্রথমে ভারতীয় নামেই শর্কর অভিহিত হইত, কিন্তু ক্রমে ঐ সকল সংস্কৃত শব্দ ভিন্ন ভিন্ন স্থানে নানারূপ অপভ্রংশ হইয়া যায় । চরক, সুশ্রুত প্রভৃতি প্রাচীন আয়ুৰ্ব্বেদ গ্রন্থকারদিগের পুস্তকে নানাস্থানে খণ্ড, গুড় প্রভৃতির উল্লেখ দৃষ্ট হয়। তদপেক্ষা প্রাচীন মন্ত্র প্রণীত সংহিতাতেও শর্করার উল্লেখ আছে । পথশ্রান্ত সম্বলবিহীন দ্বিজ পথিক পথপাৰ্শ্ববৰ্ত্তী ইক্ষুক্ষেত্র হইতে দুইগাছি ইক্ষু লইলে দণ্ডনীয় হইবে না, মন্ত্র এরূপও নির্দেশ করিয়াছেন। কেহ গুড় চুরি করিলে পরজন্মে বাদুড় হইবে এইরূপ বিধিও দৃষ্ট হয়। মমুসংহিতার দশম অধ্যায়ে শর্কর ও মিষ্টারের উল্লেখ আছে। সুতরাং মনুর সময় হইতে শর্করা, গুড় প্রভৃতির ব্যবহার ও ইক্ষুর ষে চাষ ছিল তাহাতে সন্দেহ নাই। অতি প্রাচীনকালে যুরোপে চিনির ব্যবহার প্রচলিত ছিল তাহার বহুল দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। হেরোডোটল, থিওফ্রাষ্টদ, সেবেৰল, প্লিনি প্রভৃতি প্রাচীন লেখকদিগের গ্রন্থে ইহার উল্লেখ আছে। খৃষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে পলস ইজিনেট অতি প্রাচীন কালের গ্রন্থকার আর্কিজিনিসের অল্পবর্তী श्हेब्रा “cनथिएउ नाथांब्र१ गवरभद्र भउ किरू मधून छांब्र प्रभिटे, ভারতীয় লবণ” নামে যে বস্তুর উল্লেখ করেন, তাহ চিনিরই