পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইয়া থাকিষে । ভারতবর্ষের অনেকস্থামে এরূপ অনেক গ্রাম আছে যাহদিগের নামের সহিত শর্করা, গুড়, খণ্ড, খর্জুর ইত্যাদি শবের উচ্চারণগত বিশেষ সাদৃশু আছে। বোধ হয় ঐ সকল স্থান গুড় শর্কর প্রভৃতি উৎপন্ন দ্রব্যের নামানুসারে আখ্যাত Ffts . rfrott (Fuckiger) s *tarifà (Hanbury) সাহেব অনুমান করেন, বাঙ্গালার গোঁড় আখ্যা এইরূপেই হইয়াছিল। বাস্তবিক পূৰ্ব্বে বাঙ্গালায় যে বহু পরিমাণে ইকু ऽांस झईड, डरिषरश्न भएमाह नाहे । श्रांद्र७ पञएनएस श्रष्ट्रमांन করেন, ভারতবর্ষের জধ্যে প্রথমে বঙ্গ দেশেই ইক্ষুর চাষ আরম্ভ হয়। তৎপরে এই স্থান হইতে ক্রমে উত্তরপশ্চিম প্রদেশ, পঞ্জাব, দাক্ষিণাত্য প্রভৃতিতে বিস্তৃত হইয়া পড়ে। খৃষ্টীয় নবম শতাব্দীতে পারস্তোপসাগরের কুলে ইক্ষুর চাষ হইত, তাহার প্রমাণ পাওয়া যায় । খৃষ্টীয় ধৰ্ম্ম-যোদ্ধাগণ (Crusaders) সিরীয় প্রদেশে ইক্ষু দেখিয়াছিলেন। ঐ সময়ের একজন ইতিহাসলেখক লিথিয়াছেন, “ধৰ্ম্ম যোদ্ধাগণ ত্রিপলীদেশের ক্ষেত্ৰ সকলে সুক্র (Sukra) নামে বহু পরিমাণে মধুযুক্ত তৃণ দেখিয়াছিল।” এই সকল মধুময় তৃণ যে ইক্ষু তাহাতে আর কি সন্দেহ ? সারাসিনগণ প্রথমে যুরোপে ইক্ষুর চাষ আরম্ভ করে। চতুর্দশ শতাব্দীতে যুরোপেচিনির প্রচলন দেখিতে পাওয়া যায়। ১৩২৯ খৃষ্টাব্দে স্কটলওেও এক আউন্স গাটা রূপায় এক পাউও সুপরিস্কৃত চিনি পাওয়া যাইত। চিনি যে সৰ্ব্ব প্রথমে ভারতবর্ষে আবিষ্কৃত হয়, এ বিষয় বহুকাল পর্য্যন্ত গ্রীক ও রোমকগণ জানিতেন না । ভারতবর্ষ হইতে আরব, গ্রীস প্রভৃতি স্থানে চিনির আমদানির কথা আরব দেশীয় প্রাচীন গ্রন্থকারদিগের গ্রন্থে পাওয়া যায়। - ১৩০৬ খৃষ্টাব্দে মুলতানের অধিকৃত রাজ্য মধ্যে ও সাইপ্রস, রোডস, সিসিলি প্রভৃতি খৃষ্টধৰ্ম্মাবলম্বী রাজার অধীনস্থ দেশসমূহে প্রথমে চিনি প্রস্তুত প্রণালী প্রচলিত হয়। ইতালি, স্পেন ও ভূমধ্যসাগরস্থ দ্বীপবাসীগণ আরবদিগের নিকট হইতে ইক্ষুর চাষ, উহা হইতে রসনিঃসরণ ও চিনি প্রস্তুত প্রকরণ শিক্ষা করে। ১৪২ খৃষ্টাকে পর্ত শীর্জের সিসিলি দ্বীপ হইতে মেদিরায় ইক্ষুর আমদানি করে। যাহা হউক স্পেনীয় ও পৰ্ব্ব গীর্জ হইতে সৰ্ব্বপ্রথমে ভারত ও চীনদেশীয় চিনি প্রস্তুতকৌশল বুরোপখণ্ডে প্রচলিত হয়, তৰিষয়ে সংশয় নাই। কেহ কেহ বলেন, ১৬২৭ খৃষ্টাব্দে বাৰ্ব্বাডোজে ইংরাজদিগের চিনির কারখানা প্রথম স্থাপিত হয় এবং ১৬৭৬ খৃঃ অকো উহা চরমসীমায় পদার্পণ করে। ইংরাজদিগের কারখানা স্থাপনের অল্প [ ৩২৩ ] জ্ঞ বলি। ইহাতে ৰােধ হয় তাত বইতেই চিনির উপস্থা দিন পরেই পর্তুগীজগণ যুরোপ বস্থল প্রচার করে । কেবল ইক্ষু ও খেজুর গাছ হইতেই যে চিনি উৎপন্ন হয় তাহা নহে, বহুসংখ্যক তরু ওয়াদি হইতে গুজরাধিক পরিমাণে চিনি বাহির হইয়া থাকে, নিয়ে চিনিউৎপাদক উদ্ভিদ সকলের একটা তালিক প্রদত্ত হইল। ইক্ষু, খর্জুর, তাল, নারিকেল, সাগু, বিটুপালঙ, মাপল (sugar Maple) e fr asfa și, crită, rfara ইত্যাদির রস হইতেও চিনি প্রস্তুত হইতে পারে । নলী প্রস্তুতকালে যখন নীল পচিতে দেয়, তখন নীলে সারের সহিত নীলের চিনিও জলের সহিত দ্রব হইয়া যায় । চিনি থাকায় শীঘ্রই এই মিশ্রদ্রব্যে অন্তরুৎসেক (Fermentation) ors থাকে এবং তৎপ্রভাবে নীলবর্ণ নীলসায় শ্বেতবর্ণ নীলে পরিণত হয়। এই খেতনীল পুনৰ্ব্বার নীলবর্ণ করিতে বিস্তর অর্থ ব্যয় ও পরিশ্রম সাধ্য, কিন্তু এই নীলজাত চিনি সকলেই অকশ্মণ্য বোধে ফেলিয়া দেয় । কাফি-উৎপাদকগণ কেবলমাত্র কাফির বীজগুলি গ্রহণ করে, কিন্তু ফলের সারভাগের সহিত বিস্তর চিনি প্রতি বর্ষে অযথা পরিত্যক্ত হয়। পাট হইতে এক প্রকার চিনি ও তাহ হইতে এক প্রকার সুরা প্রস্তুত হইতে পারে। মধুকপুষ্প অর্থাৎ মৌল স্কুলে প্রচুর পরিমাণে চিনি আছে। তজষ্ঠ যে যে স্থানে মৌল উৎপন্ন হয়, সেই সেই স্থানে উহা হইতে বিখ্যাত মৌলের মদ্য প্রস্তুত হইয়া থাকে । কিন্তু আজ পর্য্যস্ত কোন রাসায়নিকই মৌল হইতে দানাকারে চিনি প্রস্তুত করিতে পারেন নাই । নানাজাতীয় ফল ফুল হইতে চিনি পাওয়া যাইতে পারে। আমরা যাহা কিছু মিষ্ট দ্রব্য ভোজন করি, তন্মধ্যে সকলেই কোন না কোন আকারে চিনি বিদ্যমান আছে। যে মধু পান করি, তাহাও চিনির অবস্থা ভেদ ব্যতীত আর কিছুই নহে, পুষ্পাদির মিষ্ট রস লইয়া মধুমক্ষিকাগণ তাঁহাই মধুরূপে পরিণত করে। সুতরাং মধু পরোক্ষভাবে বৃক্ষজ চিনির ভেদমাত্র। আঙ্গুর, আতা, পেয়ারা, জাম, আনারস, জামরুল প্রভৃতি সুমিষ্ট ফলে চিনি থাকাতে ঐ সকল হইতে অতিশয় মনোহর সুগন্ধযুক্ত আসব প্রস্তুত হয়। আৰ্যখষিগণের সোমসুর বোধ হয় এইরূপ কোন বস্তুদ্বারা সুবাসিত হইত। কুঁচ বা গুঞ্জার মূলে এবং যষ্ঠ মধুর মূলেও কিঞ্চিৎ পরিমাণে শর্কর অাছে, তজ্জন্য উহা মিষ্ট বোধ হয়। দারুচিনিতেও চিনি আছে, কিন্তু উহাদের পরিমাণ অল্প এবং ঐ সকল বস্তুও অধিক মিলে না । সুতরাং ঐ চিনি বিশেষ কোন কার্য্যে আসে না । ৰেজিলন্ধর