পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छिंत्रिं [ ७२4 ] प्लेिमेिं লইয়া যায়। এইরূপ ক্রমাগত ৩ দিন রস সংগ্ৰহ হইলে বৃক্ষকে ৩ দিন বিশ্রাম দেওয়া হয় । সচরাচর অগ্রহায়ণমাস হইতে ফাস্তুন পৰ্য্যস্তই রস সংগৃহীত হইয় থাকে। তন্মধ্যে পৌষমাসে অর্থাৎ অত্যস্ত শীতের সময়ই অধিক পরিমাণে রস নির্গত হয় । একট পূর্ণ-বয়স্ক অর্থাৎ ১৬১৭ বৎসরের বৃক্ষ হইতে গড়ে প্রতি দিন ৮ সেল্প রস নির্গত হইতে পারে। প্রথম কয়েক বৎসর অল্প পরিমাণে এবং মধ্যে ৫৭ বৎসর খুব অধিক পরিমাণে রস হয়, তৎপরে জাবার রসের পরিমাণ হ্রাস হইতে থাকে। রস লইলে খেজুর গাছের পরমায়ু অনেক হ্রাস হইয়া যায়। আবার অনিয়মিতরূপে রস সংগ্ৰহ করিলে আরও অল্পায়ু হয় । কেহ কেহ ৩৪ বর্ষের গাছ হইতেই রস লইতে আরম্ভ করে । ইহাতে গাছ শীঘ্র শীঘ্রই রুগ্ন হইয়া যায় এবং বহু কষ্টে বড় হইলেও তাহাতে বেশী রস হয় না, শীঘ্রই মরিয়া যায়। বাদলা কিম্বা কুয়াসা হইলে সেদিন রস সংগ্ৰহ করিবে না, তাহা হইলে রস ও ভাল হয় না, আর গাছ পচিয়া যায়। এ বৎসর গাছের যে দিক চাচিয়া রস লইবে, পর বৎসর তাহার ঠিক বিপরীতদিকে কাটিবে। এইরূপে প্রতি বৎসর খেজুর গাছে একটা করিয়া খাজ পড়ে। ঐ সকল খাজের সংখ্যা গণনা করিয়া তাহার বয়স অমুমান করা যায়, রস হইতে এইরূপে গুড় ও চিনি প্রস্তুত হয় । সমস্ত বৃক্ষ হইতে রস একত্র করা হইলে উহ। তৎক্ষণাৎ নিকটবৰ্ত্তী কারখানায় লইয়া গিয়া কড়ায় চড়াইয়া জাল দিতে থাকে । রস অধিকক্ষণ রাখিয়া দিলে Sztrz Ngogsgorg (Fermentation) হইয়া স্বরায় পরিণত হয় । তখন তাহাতে গুড় হয় না । সেইজন্ত কাল বিলম্ব না করিয়া রস হইতে গুড় প্রস্তুত হইয়া থাকে। রস খুব টাটুক ও উৎকৃষ্ট হইলে ৬ সেরে ১ সের গুড় হয়, অন্তথা ৭৮ সেরে ১ সের গুড় হইতে পারে। সিউলি নামে এক জাতি বাঙ্গালার নানাস্থানে খেজুর রস হইতে গুড় প্রস্তুত করে। ঐ গুড় হইতে ইক্ষুগুড়ের প্রণালী অনুসারে চিনি প্রস্তুত হইয়া থাকে। একশত খেজুর গাছ হইতে প্রতি বৎসর ১২০ মণ পৰ্য্যন্ত গুড় হইতে পারে। খেজুরের স্তায় তালগাছ হইতেও গুড় ও চিনি হইতে পারে। মলবার উপকুল তালের কাদি স্থানে স্থানে কাটিয়া দিয়া রস সংগ্রহ করে। ঐ রস হইতে গুড় ও চিনি প্রস্তুত হয় । বাঙ্গালা দেশে তালের রস (তাড়ি) হইতেও গুড় প্রস্তুত অতি অল্প হয় । ব্রহ্মদেশে বহু পরিমাণে তালের গুড় উৎপন্ন ও ব্যবহৃত হয়। মাঙ্গাজ অঞ্চলে নারিকেল গাছ হইতে গুড় প্রস্তুত হয়। দাক্ষিণাত্যে মারিকেল গাছ বাঙ্গালার খেজুরগাছের কাজ করে। সিংহলের দক্ষিণাংশে সাগুস্তৃক্ষ হইতে চিনি উৎপন্ন হয় । বর্তমান শতাব্দীর প্রারম্ভে ফরাসীল্পাষ্ট্রবিপ্লবের সময় ফ্রান্সে চিনির আমদালি বন্ধ হইয়া যায়। নেপোলিয়ান বোনাপার্ট আদেশ করেন, যে কেছ য়ুরোপজাত কোন বস্তু হইতে অল্পব্যয়ে অনেক পরিমাণে চিনি প্রস্তুত করিতে পারিলে লক্ষমুদ্র পুরস্কার পাইবে । এই সময় অনেকেই অনেক পদার্থ হইতে চিনি প্রস্তুত করেন, তন্মধ্যে বিটের চিনিই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট ও মুলত হইয়াছিল। বলা বাহুল্য উত্তাবয়িত প্রতিশ্রুত লক্ষমুদ্র প্রাপ্ত হন। পরে ইক্ষু প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ইহার লোপ পাইবার উপক্রম হয়। কিন্তু বিদেশীয় চিনির উপর অতিশয় কর বৃদ্ধি হওয়ায় বিটের চিনি টিকিয়া যায়। এখনও যুরোপে বিটু মূল হইতে প্রভূত পরিমাণে চিনি প্রস্তুত হইতেছে, কিন্তু ভারতবর্ষে তেমন উৎকৃষ্ট বিটুও হয় না, সুতরাং বিটু হইতে তেমন ভাল চিনিও পাওয়া যায় না । একরূপ বিটুপালঙ্গ এদেশে উৎপন্ন হয় বটে, কিন্তু উহা শাকাদিবৎ ব্যঞ্জনরূপে ব্যবহৃত হয় মাত্র । ইক্ষু, ইহার গুড় ও চিনি । ইক্ষু হইতেই (বিশেষতঃ ইক্ষুর পরিপক্কাবস্থায়ই ) অধিক পরিমাণে চিনি পাওয়া যায়। তরুণাবস্থায় ইক্ষুতে অধিক চিনি থাকে না, উহাতে শ্বেতসার ও চিনির পুর্বরূপ সোট (Glucose) বিদ্যমান থাকে। তাহাই ক্রমে চিনিতে পরিণত হয়। আবার ইক্ষুর মূলভাগে অধিক চিনি ও শ্বেতসার প্রভৃতি অল্প পরিমাণে এবং অগ্রভাগ অপেক্ষাকৃত অল্প চিনি ও অধিক মাত্রার সোট শ্বেতসারাদি বিদ্যমান থাকে । ভিন্ন ভিন্ন কালে ১ • o ভাগ ইক্ষুরস বিশ্লিষ্ট করিলে নিম্নলিখিত ফল পাওয়া যায়— ১ম পরীক্ষা | ২য় পরীক্ষণ | ৩য় পরীক্ষা ৩১ আগষ্ট | ২৯ সেপ্টম্বর ১০ ডিসেম্বর ইক্ষুর দৈর্ঘ্য ৪ ফিট । ৫২ ফিট । ৫ ফিট সপত্র $3. go જે 罗 * * * sy > of 53 রসের আপেক্ষিক গুরুত্ব • a Jళి 8 م ، لا ‘e শর্কর 8 ° {t br“ о о & ! o a >'aq " • a s \5} ভস্ম ৭৩ “ማw • අදා শ্বেতসার • & է, :Տ ○"ミな অম্ন و لا ه জল * 、"ab" | ケレペいか? ৭৯ ৭১ 3 డి లి , е е 3 & a তালিকায় দেখা যাইতেছে যে সেপ্টেম্বর মাসে চিনির ভাগ আগষ্টের প্রায় দ্বিগুণ, এবং ডিসেম্বরে সেপ্টেম্বরের