বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশ অধ্যায়—আচাৰ্য্যলীলার ঘটনা-পরম্পর মদনাধিপতি নামক বিষ্ণুর মন্দিরে একরাত্রি অবস্থান করিয়া প্রাতঃকালে শিষ্যগণ-সমভিব্যাহারে যাত্রা করিলেন । এই স্থানে রাজা জয়সিংহ শ্ৰীমন্মধেবর পাদপদ্মে সমাগত হইয় তাহার অনুসরণ করিতে লাগিলেন শ্ৰীমন্মধবাচাষ বিষ্ণুমঙ্গলক্ষেত্রে উপস্থিত হইলেন। তথায় শিষ্য হৃষীকেশতীর্থকে শ্ৰীমদ্ভাগবত পাঠ করিবার জন্ত আদেশ করিয়া শ্ৰীমন্মধবাচায্য স্বয়ং শ্ৰীকৃষ্ণলীলার অপূৰ্ব্ব ব্যাখ্যা করিলেন । বিদ্বান ও মুর্থ যাবতীয় শ্রোতৃমণ্ডলী শ্ৰীমন্মধবাচায্যের কৃষ্ণলীলা ব্যাখ্যা শ্রবণে পরমানন্দ-সমুদ্রে নিমজ্জিত হইলেন। রাজা জয়সিংহ শ্ৰীমন্মধবাচায্যের অনুগমন করিয়া সেই ভাগবত-ব্যাখ্যা শ্রবণ করিয়াছিলেন । বিষ্ণুমঙ্গলবাসী লিকুচবংশীয় সুব্রহ্মণ্য নামক এক কাব্যশাস্ত্রের সুপণ্ডিত তখন বৰ্ত্তমান ছিলেন । দৈববশে তাহার সন্তানসমূহ জন্মের পরেই বারংবার বিনষ্ট হইতেছিল । সুব্রহ্মণ্যের সহধৰ্ম্মিণী কৃষ্ণভক্তিপরায়ণ ছিলেন । তিনি ভূবনপতি হরিহরের নিকট কৃষ্ণভক্তিপরায়ণ এক পুত্র কামনা করিলেন । কিছুকাল পরে তাহাদের গৃহে এক পুত্র জন্ম গ্রহণ করিল। সুব্রহ্মণ্য পুত্রের নাম রাখিলেন – ত্রিবিক্রম । ত্রিবিক্রম অতি অল্পকালের মধ্যেই তাহার স্বাভাবিক প্রতিভাসমুহ প্রকট করিলেন। তিনি অতি অল্পবয়সেই উষাহরণ নামক একটি কাব্য বিক্রমাচাৰ্য রচনা করিয়াছিলেন। ত্রিবিক্রম বিদ্যাভ্যাসকালেই সুবিস্তৃত মায়াবাদশাস্ত্রে নানাপ্রকার অসঙ্গতি-দোষ প্রদর্শন করিয়াছিলেন । র্তাহার অধ্যাপক সেই সকল যুক্তির কোন খণ্ডন করিতে পারেন নাই । ত্রিবিক্রম বয়স্তগণের বিশেষ অনুরোধে অশ্রদ্ধার সহিত মায়াবাদশাস্ত্র অভ্যাস করিলেন এবং সম্পূর্ণ একলক্ষ পচিশ হাজার মায়াবাদ-শাস্ত্রগ্রন্থে পারদর্শী হইলেন । ইহা দেখিয়া সুব্রহ্মণ্যাচাৰ্য্য পুত্রকে বলিলেন যে, কলিযুগে [ ১৪৩ ] Q