বৈষ্ণবাচাৰ্য্য মধব অবলম্বনপূর্বক আমাদের প্রথম হইতেই প্রতিগ্রামে সেরূপ চেষ্ট করিতে হইবে। যদিবা ইহার কোনরূপে কোন গ্রামে প্রবেশ করে, তখন উহাদের গৰ্ব্ব নাশ করিবার জন্ত উহাদিগের গ্রন্থ অপহরণাদি করিতে হইবে।” 曝 কুটিলবুদ্ধি মায়াবাদিগণ এইরূপ নানা চক্রান্তের দ্বারা শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের বিকদ্ধাচরণে প্রবৃত্ত হইল । বিষ্ণুবৈষ্ণববিদ্বেষী সন্ন্যাসিবেশধারী পণ্ডিতাভিমানী পুণ্ডরীকপুরীকে উহার শ্ৰীমধেবর সহিত বিচারার্থ প্রস্তুত করিয়াছিল । আনন্দতীর্থ পুণ্ডরীকপুরীকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করিলেন এবং স্বমত স্থাপন পূর্বক বিষ্ণুবৈষ্ণবের প্রতির জন্ত বেদ ব্যাখ্যা করিলেন । যখন পুণ্ডরীকপুরী শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের নিকট পরাজিত ও বিদ্বৎসভায় হাস্তাম্পদ হইয়া পড়িলেন, তখন তৎপক্ষীয় পদ্মতীর্থ একটি দুষ্ট উপায় উদ্ভাবন করিল। শ্ৰীমন্মধবাচার্য্য তাহার গ্ৰন্থরাজি শঙ্কর-নামক এক সদ ব্রাহ্মণের নিকট রাখিয়াছিলেন, পদ্মতীর্থ ঐ সকল অপহরণ করাইয়া ফেলিল। শ্ৰীমন্মধবপদ আৰ্য্য জ্যেষ্ঠ-যতির সহিত দীর্ঘপথ অতিক্রম করির প্রাজ্ঞবাট্ট নামক গ্রামে পদ্মতীর্থকে প্রাপ্ত হইলেন এবং সেই গ্রন্থাপহরণকারী ব্যক্তিকে বাক্যবাণে জর্জরিত করিলেন। শ্ৰীমধব ঐ গ্রামে এক বিষ্ণুমন্দিরে চাতুৰ্ম্মাস্ত-ব্রত-পালনের জন্ত চারিমাস অবস্থান করিলেন । ব্রতান্তে শ্ৰীমন্মধব র্তাহার অপহৃত গ্রন্থসমূহ পুনরায় উদ্ধার করিলেন এবং সহ-প্রদেশে উপনীত হইলেন । রাজা জয়সিংহ শ্ৰীমন্মধবাচায্যের নিকট দূত প্রেরণ করিয়া নিজ রাজধানীতে শ্ৰীমন্মধেবর পদার্পণের প্রার্থন জানাইলেন এবং বলিলেন যে, তিনি পদ্মতীর্থ কর্তৃক গ্রন্থসমূহের অপহরণের প্রতিকার করিবেন । শ্ৰীমধব স্তম্ভনগরে অ1চায্যের গ্রস্থ রাজি অপহৃত (A [ ১৪২ ]