পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচার্য্য মধব বস্তু কখনও বিচাৰ্য্য, চিন্তনীয় কিংবা কোনরূপ ফলপ্রদ হইতে পারেন না । ব্ৰহ্ম নিৰ্ব্বিশেষ বস্তু বলিয়া উহ। বিধি প্রত্যয়ের বিষয়ীভূত নহে—যেমন আকাশ-কুসুম । যাহা সবিশেষ বা সদ্বস্তু, তাহাই বিচারাদি বিধির বিষয়ীভূত—যেমন প্রমাণ ও প্রমেয় প্রভৃতি বস্তু। যদি নিৰ্ব্বিশেষ মুক্তিবাদীকে জিজ্ঞাসা করা যায়, ‘কোন সময়ে তোমার সম্মত মোক্ষলাভ হয় ? তাহা হইলে তিনি যদি উত্তর করেন যে, ঐক্যজ্ঞানের মায়াবাদীর নিজ যুক্তির উত্তরকালে মুক্তি হয়, তাহা হইলে মুক্তির দ্বারাই তন্মতবাদের সহিত ঐক্যজ্ঞানের উত্তরকালের সম্বন্ধ থাকায় অযৌক্তিকতা স্থাপন উহা আর নিৰ্ব্বিশেষ হইল না। অতএব র্তাহার এই উত্তরেই নিজ-সম্মত সিদ্ধান্তের বিনাশদোষ ঘটে । আর যদি তিনি কিছু উত্তর না দেন, তাহা হইলেও ‘অমুক্তি’ নামক পরাজয়ই হইয়া থাকে । চক্ষু: প্রভৃতি ইন্দ্রিয়হীন মুক্তপুরুষ কাষ্ঠ-পুত্তলিকার হার কোন বিষয়ের অনুভব করিতে পারে না বলিয়া পুরুষাৰ্থলাভে সমর্থ নহে। জ্ঞান, প্রযত্ন, ইচ্ছা প্রভূতি শুদ্ধ কল্যাণগুণশালীশ্রীনারায়ণ স্বরূপশক্তির বলেই দুঃখভাগী নহেন। তিনি সেই স্বরূপশক্তি-প্রভাবেই মুক্তজনগণকেও জ্ঞানাদিযুক্ত করেন। যে ব্যক্তি বদ্ধজনের মধ্যে মুখকে দুঃখ-সংযুক্ত দেখিয়া মুক্তজনে সুখ অস্বীকার করে, সে মুক্তিতে স্বরূপেরও অস্বীকার করিয়া থাকে ; অতএব সে শূন্তবাদীই হইয় পড়ে । প্রাকৃত দেহই বিকারের কারণ, বিশুদ্ধ মুক্তদেহু নহে। মায়াবাদী যে বলিয়াছেন,— ‘দেহ থাকিলেই বিকার জন্মিবে, তাহার এইরূপ হেতুও সুনিশ্চিত নহে ; কারণ ঈশ্বরের দেহ আছে, অথচ বিকার নাই। যদি ঈশ্বরকেও দেহহীন বলা যায়, তাহা হইলে তিনি শশশৃঙ্গাদির দ্যায় ইচ্ছা, জ্ঞান প্রভৃতি গুণশূন্তই হইয়া পড়েন। যদি শশশৃঙ্গাদি হইতে ঈশ্বরের পার্থক্য [ 8b. 1