পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশ অধ্যায়—আচাৰ্য্য-লীলার ঘটনা-পরম্পরা সিদ্ধির জন্য মায়াবাদী ব্রহ্মের জ্ঞাতৃত্বাদিরূপ স্বীকার করেন, তাহা হইলে আমরা বলিব যে, এই জ্ঞাতৃত্বাদিরূপই দেহ । ঐ ঈশ্বর প্রাকৃতশরীরধারী নহেন, তিনি সচ্চিদানন্দবিগ্ৰহ । মুক্তগণেরও এইরূপ অপ্রাকৃত দেহ আছে বলিয়া তাহারা প্রাকৃত-শরীরযোগ্য দুঃখাদি ভোগ করেন না । শ্ৰীমন্মধ্বপাদ ত্রিবিক্রমাচাৰ্য্যকে মায়াবাদীর যুক্তির খণ্ডন পূর্বক এই সকল সিদ্ধান্ত শ্রবণ করাইলেন । তথাপি ত্রিবিক্রম ক্ষান্ত হইলেন না,— ত্রিবিক্রমের শ্ৰীমধ্ব- তিনি নানাবিধ তর্ক উপস্থিত করিলেন । চরণে আশ্রয়-প্রার্থনা পূর্ণপ্রজ্ঞও হাসিতে হাসিতে অনায়াসে ততোধিক প্রবল তর্কবাণের দ্বারা ত্রিবিক্রমের সমস্ত তর্ককে প্রয়োগ-মাত্রেই খণ্ডন করিলেন । ত্রিবিক্রম বহু বেদ-প্রমাণের দ্বারা শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের সিদ্ধান্তকে খণ্ডন করিবার চেষ্টা করিলেন। মধ্বপাদও অতি বলবান বৈদিক বাক্যসমূহের দ্বারা অর্থান্তর প্রকাশপূৰ্ব্বক ঐ সমস্ত নিবারিত করিলেন । এই ভাবে শ্রমন্মধবাচার্য্য ত্রিবিক্রমের সহিত পনর দিন বিচার করিয়া অবশেষে তাহাকে নিরুত্তর ও প্রশ্নহীন করিলেন। তখন ত্রিবিক্রম শ্রীপুর্ণপ্রজ্ঞের পাদপদ্মে পতিত হইয়া বলিলেন,—“হে প্রভো! আমার চপলত ক্ষমা করুন এবং আপনার পাদপদ্মরজোরাশির নিশ্চল দাস্ত্য প্রদান করুন।” •শ্ৰীমধবাচাৰ্য্য ত্রিবিক্রমের নিকট ব্রহ্মস্থত্রের ভাষ্য ব্যাখ্যা করিয়াছিলেন । শ্ৰীমন্মধব ত্রিবিক্রমকে স্বত্রভাষ্যের একটি টীকা রচনা করিবার আদেশ এমঞ্চ-কর্তৃক ত্রিাবক্রমকে করিলেন। ত্রিবিক্রম শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের ভাষ্য স্বত্র-ভায্যের টাকা-রচনায় শ্রবণ করিয়া বলিলেন—“ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ আদেশ যেরূপ যশোদার নিকট আত্মপরিচয় প্রদানের জন্ত নিজ ক্ষুদ্র বদনের মধ্যে অনন্ত অর্থ ( প্রপঞ্চ ) প্রকাশ করিয়াছিলেন, আপনিও সেইরূপ আত্মপরিচয়-প্রদানের জন্ত ক্ষুদ্রভাষ্য-সংগ্রহের মধ্যে [ ১৪৯ ] Q