বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্ব্বিংশ অধ্যায়—শ্ৰীমধবাচাৰ্য্যকৃত গ্রন্থাবলী বিদ্বেষী দৈত্য প্রভৃতির স্বভাব ও চরিতাদি নিরূপণ এবং মধবাচার্য্যের স্বরূপবিবরণ এইগ্রন্থে বর্ণিত হইয়াছে। ১৭। বৃহদারণ্যকভাষ্য—শ্ৰীহয়গ্রীব এই উপনিষদের প্রথম ঋষি । অনন্তর লক্ষ্মী, ব্ৰহ্মা, স্বৰ্য্য, যাজ্ঞবল্ক্য ও কর্ণ—ইহার ক্রমশঃ ঋষিরূপে কথিত । প্রথমতঃ এই গ্রন্থে যে সকল ঋঙ মন্ত্র অশ্বমেধ-যজ্ঞ-ক্রিয়ার প্রতিপাদকরূপে প্রতীয়মান হয়, তাহাদিগকে ভগবানের স্বরূপ-প্রতিপাদকরূপে বর্ণন করা হইয়াছে। অনন্তর ঐক্য-প্রতিপাদকরূপে প্রতীত বাক্যসমূহকে বিস্তৃতভাবে ভেদ পররূপে প্রতিপাদন করা হইয়াছে। অভেদবাদ যুক্তি-বিচার-মূলে খণ্ডিত হইয়াছে। পরে বাদ, জল্প ও বিতণ্ডা প্রভৃতি কথায় জয় পরাজয় প্রভৃতির নির্ণয়-প্রণালী এবং শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যের বায়ুরূপত্ব প্রতিপাদিত হইয়াছে । የ ১৮। ছালেদাগ্যভাষ্য—এই উপনিষদে দেবগণের তারতম্য বিশেষভাবে কথিত হইয়াছে । ওঙ্কার সর্ববেদের উত্তম বস্তু, সৰ্ব্ববেদের মূল ও সৰ্ব্বোত্তমমন্ত্ররূপে কথিত হইয়াছে । জীবগণের পাপাদি হেতু অধোগতি, সৎকৰ্ম্মহেতু উৰ্দ্ধগতি এবং ব্ৰহ্মজ্ঞানহেতুই মোক্ষ প্রতিপাদিত হইয়াছে। শূদ্রগণ বেদে যে অনধিকারী এবং সদগুরুপ্রাপ্তিই যে, পরমপুরুষাৰ্থলাভের সাধন, ইহাও বিবৃত হইয়াছে। এইরূপ আদিত্যমণ্ডলে বিদ্যমান বাস্থদেব, সঙ্কর্ষণ, প্রস্থায় ও অনিরুদ্ধ—এই মূৰ্ত্তি-চতুষ্টয়ের বণ, আকার, স্থান ও পদগত বৈশিষ্ট্য কথিত হইয়াছে। অতঃপর মধুবিদ্যায় অধিকারী বস্থপ্রভৃতির উপান্ত রূপসমূহ, আধিপত্যক্ষেত্রসমূহ এবং অবাস্তর রূপবিশেষসমূহ বিস্তৃতভাবে প্রতিপাদিত হইয়াছে । জীব ও ব্রহ্মের অভেদপব বাক্যসমূহকে সঙ্গতি-বিরোধহেতু ভেদ-প্রতিপাদকরূপে নির্ণয় করা হইয়াছে । এইরূপ দেবগণের মধ্যে ক্রম-তারতম্য, যোগ্যের [ ১৬৭ ] Q