বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অক্টোবর ১৮৯১ ] চিকিৎসা-বিবরণ । Ꮌ8Ꮔ স্বভাধের বিরুদ্ধে কাৰ্য্য করিয়া, স্বভাবের निद्रब ७म कर्ध्नि गर्लन नैौज़ाअख इहे । কথায় আছে;"টুপুত্র যদি হয়, কুমাত কখনও নয়। তাই দেখুন, আমাদিগের এই সকল বিরুদ্ধাচার সত্ত্বেও স্বভাব কখনই অস্বা ভাবিক কার্য্য করিতে পারে না ও করে ন। সততই পীড়া সমুহকে শরীর হইতে দূর করিতে বিশেষ চেষ্ট করে। আমরা চিকিৎসক—fচকিৎসাকালে কি করি কিছুই নহে,কেবল স্বভাবকে সাহায্য করিয়া থাকি । কখন কখন স্বভাব নিজেরই বিপুল গুণ বশতঃ অতীব সঙ্কট রোগে অতি সুন্দর, অভাবনীয় ও অলৌকিক উপায় অবলম্বন করিয়া রোগীকে কালগ্রাস হইতে উদ্ধার করে। আমি ইহার একটি উদাহরণ দিতেছি, পাঠ করিলে আপনার বিস্ময়াপন্ন হইবেন তাহার আর সন্দেহ নাই । ইংরাজি ১৮৮৭ সালের জ্যানুয়ারি মাসের ২৫শে তারিখে ক্যাম্বেল হাসপাতালের সেকেণ্ড মেডিক্যাল ওয়াডে ঠাকুরদাস নামে একটি রোগী আমার চিকিৎসাধীনে ভর্তি হয়। ভৰ্ত্তির সময় তাহার বয়স আন্দাজ চল্লিশ ছিল । পুরাতন পালা জর, বিবৰ্দ্ধিত প্লীহা ও সাৰ্ব্বাঙ্গিক শোথে রোগী বহু দিবসাবধি ভুগিতেছে, পেটুটি জলে পরিপূর্ণ ও টৈটুম্বর, টিপিলে ভিস্তির জল-ভরা মসকের ন্যায় বোধ হয়। পেটের শিরাগুলি যেন ভয়প্রযুক্ত নীল । বর্ণ হইয়৷ এদিক ওfদক পলাইতেছে। রোগী অত্যন্ত হুৰ্বল, খাসক্টছ, বর্তমান থাকায় স্থাস ফাস করিতেছে, শুতে পারে না, বসতে পারে ও খেতে পারে না, সৰ্ব্বদাই নানাবিধ যন্ত্রণায় অম্বিয়। এই সকল দর্শনে আমার আশঙ্কা श्देठ, कि कब्रि, छादिज्ञा लिखिब्रा जना ८कांन প্রকার আগু উপকারক উপায় না দেখিয়৷ সাধারণ প্রচলিত ঔষধ অর্থাৎ নাইটিক ইথর, পটাস অ্যাসিটাস, টিংকচর ডিজিটেলিস, সোডি এট পটাসি টাটাস ইত্যাদি ব্যবস্থা করিলাম। আপনার সকলেই জানেন যে, পীড়িতাবস্থায় ঔষধ সকলের ক্রিয়৷ কতদূর ফলদায়ক, কোথায় বা প্রস্রাব বৃদ্ধি, কোথায় বা ঘৰ্ম্ম নিঃসরণ, কোথায় বা বিরেচন, কিছুই হইল না এবং রোগীর অবস্থা উত্তরোত্তর শোচনীয় হইয়া উঠিল । উপায়াস্তর না দেখিয়া অর্থাৎ অনন্যোপায় হুইয়। ঐ সালের মার্চ মাসের ৩রা তারিখে পেট টি টোকার ক্যামুল দ্বারা ছেদ করিয়া(যাহাকে বলে প্যারাসেন্টেসিস অ্যাব ডমিনিস অর্থাৎ ট্যাপ করা ) অনেক জল নিগত করিয়া দিলাম; তাহাতেই বা কি হইল, বিশেষ কিছু নহে, তবে রোগী দুই চারি দিবস কিঞ্চিৎ সুস্থ ছিল। তার পরেই যেই সেই, পেট জলে ফুলিয়া ঢোল হইয়া উঠিল, এবং পদদ্বয়ের স্ফ ততা ও হাস ফাসানি বৃদ্ধি পাইল ; ঔষধ চলিতে লাগিল, কোন উপশম হইল না। আমাদের দেশে ডাকের কথা আছে “থোড় বড়ি খাড়া,”‘বড়ি খাড়া থোড়”এবং “খাড়া থোড় বড়ি”উণ্টে পাণ্টে এটি না সেটি। উপরোক্ত কষ্টদায়ক লক্ষণ সকল দেখিয়া এপ্রেল মাহার ৬ই তারিখে পুনরায় ট্যাপ, করিয়৷ জল বাহির করিয়া দিলাম। একদিক থেকে আমি জল বাহির করিয়া দিতেছি, অপর দিক হইতে জল জমিতেছে,—এর আর কে কি করিবে বলুন ? অাশ্চর্য্যের কথা শুনুন, স্বভাবের কাৰ্য্যের কতদূর দৌড় শুনুন, এক