বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মাবলম্বন । > প্রমাণ পৃথিবীর সকল স্থানেই দেখিতে পাওয়া যায়। পরমেশ্বর মনুষ্যদিগকে যেরূপ বুদ্ধিবৃত্তি ও বিবেকশক্তি প্রদান করিয়াছেন, তাহাতে স্পষ্টই বোধ হয় যে, তাহারা অন্তীয় সাহায্য অপেক্ষ না করিয়া আপনার উপর যত নির্ভর করিয়া চলিবে, ততই তাহারা মহোচ্চ পদবীতে আরোহণ করিতে পরিবে । যখন তিনি ইতর প্রাণীদিগকেও স্বাধীন হইয়া চলিবার শক্তি দিয়াছেন, তখন যে তিনি মনুষ্যদিগকে স্বাধীনতাধনে বঞ্চিত রাগ্লিবেন, তাহ নিতান্ত অসম্ভব। আত্মার যথেচ্ছ বিনিযোজন, বুদ্ধির যথেচ্ছ পরিচালন ও যথেচ্ছ বিষয় পরিচিস্তনে মানবমাত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন। অতএব আত্ম-নির্ভর-শক্তি যে মনুষ্যমাত্রের স্বভাবসিদ্ধ গুণ, তদ্বিষয়ে অণুমাত্র সন্দেহ নাই । সমাজ মনুষ্য লইয়াই সংগঠিত । সমাজ সমুন্নত করিতে হইলে প্রত্যেক মনুষের সমুন্নতির সবিশেষ প্রয়োজন । কারণ ব্যক্তিগত উৎকর্যাপকর্য লইয়াই সমষ্টিগত উৎকৰ্ষাপকর্ষের গণনা হইয়া থাকে । দেশীয় স্বাধীনতা ও উন্নতি, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও উন্নতির সংকলনমাত্র। কোন একটা জাতিকে স্বাধীন ও সমুন্নত করিতে হইলে তজ্জাতীয় প্রত্যেক ব্যক্তিকে স্বাধীনতাপ্রিয়, শ্রমী, উৎসাহশীল ও কর্তব্যনিষ্ঠ, এবং প্রত্যেক ব্যক্তির দোষোৎপাটন করিয়া গুণরোপণ করা সৰ্ব্বাগ্রে কর্তব্য । অলস ও নিরুৎসাহকে শ্রমশীল ও সমুৎসাহী করা, অমিতাচারীকে *মিতাচারী করা, এবং পানাসক্তকে পান-দোষ-বৰ্জ্জিত করা রাজা ও রাজাজ্ঞার ক্ষমতাতীত । নষ্ট-চরিত্রের দণ্ডবিধান দণ্ডনীতির অন্তর্গত, কিন্তু তাহার চরিত্র-সংশোধন দণ্ডনীতির আয়ত্ত্যধীন নহে । অতএব জাতীয় উন্নতি সাধন করিতে হইলে তজ্জাতীয়