পাতা:মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ.djvu/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

م/چ۱ ঈশ্বরপ্রাপ্তিজনিত মুক্তজীবের যে আনন্দ, ‘ৰে যথা মাং প্ৰপদ্যন্তে তাংস্তথৈব ভজাম্যহম ইতি বাক্য স্মরণ রাখিয়,তাহাই পরিস্ফুট করিতে গিয়াছেন। কিন্তু লোকে তাহ বুঝিল না। র্তাহার রোপিত ভগবভক্তিপঙ্কজের মূল অতলজলে ডুবিয়া রহিল—উপরে কেবল বিকশিত কামকুসুমদাম ভাসিতে লাগিল। যাহারা উপরে ভাসে-তলায় না, তাহার কেবল সেই কুসুমদামের মালা গাথিয়া, ইন্দ্রিয়পরতাময় বৈষ্ণবধর্ম প্রস্তুত করিল। যাহা ভাগবতে নিগৃঢ় ভক্তিতত্ব জয়দেব গোস্বামীর হাতে তাহা মদনধৰ্ম্মোৎসব।” সংস্কার না হইলে ইহাতে সমাজের সর্বনাশ হয়। স্বীয় জীবনাদর্শে সেই সংস্কারসাধন ও সেই সংস্কৃত ধৰ্ম্মের উদার বক্ষে নিরাশ্রয়কে আশ্রয় দিয়া তাহাদিগকে হিন্দুসমাজে স্থানান চৈতন্যদেবের অসাধারণ কীৰ্ত্তি। কেহ কেহ বলেন, তিনি ভক্তির স্রোতে কৰ্ম্মবাদ ভাসাইয়া দিয়া বাঙ্গালীর অপকার করিয়াছেন। কিন্তু তাহার কৃত উপকারের সহিত তাহার তুলনা করিলে কে তাহার নিন্দ করিবে ? তান্ত্রিক সাধনা ভোগের যধ্য দিয়া ত্যাগের মোক্ষফল লাভের চেষ্টায় যে আকার ধারণ করিয়াছিল, তাহাতে তাহার পক্ষে গোপনকাৰ্য্যপ্রিয়তা স্বাভাবিক। কিন্তু ইহার বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ দেখা দিয়াছিল। “যবন হরিদাস” কীৰ্ত্তনপ্রথার প্রবর্তন করেন । “যে দেশে তান্ত্রিক মতে অতি সঙ্গোপনে মনে মনে সংক্ষিপ্ত বীজমন্ত্র জপ করিবার প্রথা ছিল, সেই দেশে সৰ্ব্বজনশ্রুতিযোগ্য উচ্চ কণ্ঠে ইষ্টদেবের পূর্ণ নাম উচ্চারিত করিবার পদ্ধতি তিনিই দেখাইয়াছিলেন।” চারিদিকেই যখন সংস্কারের কামনা বা বিদ্রোহের সূচনা দেখা যাইতেছিল, তখন সমাজের নেতৃবৃন্দ-ব্ৰাহ্মণগণ অবগুই সমাজরক্ষার উপায় উদ্ভাবনে উৎকণ্ঠিত হইয়াছিলেন। হিন্দুসমাজ শাস্ত্রান্থশাসন