পাতা:মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ.djvu/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

هلها শাসিত ; সুতরাং, সমাজরক্ষার জন্য র্তাহার আবার সোৎসাহে শান্তসিন্ধু মন্থন করিয়া অমৃত লাভের চেষ্টাই করিতেছিলেন। অতএব তখন সমাজে পরিবর্তনের—মানসিক উদ্দীপ্তির সকল উপাদানই সঞ্চিত হইয়াছিল। লোকের অস্থিরতা, সামাজিকদিগের উৎকণ্ঠা, সমাজে সংস্কারবাসনা সবই ছিল। কিন্তু রাজনীতিক কারণে সে সব উপাদান সদ্ব্যবহারের সুযোগ ঘটিতেছিল না। কারণ, দেশ তখন অরাজক—"অরাজক কে বলিবে ?—সহস্ররাজক।” বহু খণ্ডে বিভক্ত বাঙ্গালার শাসন-প্রাধান্য লইয়। তখন হিন্দুতে মুসলমানে ও মুসলমানে মুসলমানে যুদ্ধ চলিতেছে--কাহারও প্রাধান্য স্থায়ী হইতেছে ন। মুসলমান বিজয়ী হইলে অত্যাচারে প্রতিহিংসাবৃত্তি চরিতার্থ করিতেছেন ; হিন্দু সুযোগ পাইলে সে অত্যাচারের ঋণ সুদসহ শোধ করিয়া লইতেছেন। দেশের এরূপ অবস্থায় কেহ সমাজসংস্কারে, সাহিত্যচর্চায়, শিল্পোন্নতিবিধানে মন দিতে পারে না। যখন ধন, মান, প্রাণ, ধৰ্ম্ম কিছুই নিরাপদ নহে, তখন মানুষ আত্মরক্ষার উপায় উদ্ভাবনেই সমগ্র মানসিক শক্তি প্রযুক্ত করে ; তখন বীরের আবির্ভাব সস্তব-সুধীর আবির্ভাব অসম্ভব। কিছুকাল পরে পাঠান দেশজয় করিয়া দেশশাসনে প্রবৃত্ত হইল— লুণ্ঠন ত্যাগ করিয়া শাসনের উপায় অবলম্বন করিল, অত্যাচার ছাড়িয়া সদাচার করিতে লাগিল। তখন পাঠান রাজপথ নিৰ্ম্মাণ করিয়া, জলাশয় খনন করাইয়া, হিন্দুকে উচ্চ রাজপদে প্রতিষ্ঠিত করিয়া দেশশাসনে সহকারী করিয়া লইয়া বাঙ্গালী হিন্দুর হৃদয় জয় করিতে চেষ্টা করিল। আর দেশে শাস্তি সংস্থাপিত হইতে না হইতেই বাঙ্গালীর মানসিক উদ্দীপ্তি আত্মপ্রকাশ করিল। তাই “অকস্মাৎ নবদ্বীপে চৈতন্যচন্দ্রোদয় ; তারপর রূপসনাতন প্রভৃতি অসংখ্য কবি ধৰ্ম্মতত্ত্ববিৎ