পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পণ্ডিতগণের সহিত বিচার। dRGt যে ব্যক্তি কহে যে, লোকেতে প্ৰত্যক্ষ যাহা যাহা হইতেছে তাহার বাস্তব সত্তা নাই, যথার্থ সত্তা কেবল ব্রহ্মের, আর, সেই ব্ৰহ্মসত্তাকে কেবল আশ্রয় করিয়া লৌকিক যে যে বস্তু, যে যে প্রকারে প্রকাশ পায়, তাহাকে সেই সেই রূপে ব্যবহার করিতে হয় ; যেমন এক অঙ্গ হস্তরূপে, অন্য অঙ্গ পাদরূপে প্ৰতীত হইতেছে ; যে পাদরূপে প্ৰতীত হয়, তাহার দ্বারা গমনক্রিয়া নিষ্পন্ন করা যায়, আর যে হস্তরূপে প্রতীত হয়, তাহার দ্বারা গ্ৰহণ রূপ ব্যাপার সম্পন্ন করা যায়, আর যাহার দাহিকাশক্তি দেখেন, তাহাকে দাহকৰ্ম্মে, আর যাহার শৈত্যগুণ পায়েন, তাহাকে পানাদি বিষয়ে নিয়োগ করেন, তাহার প্রতি ভট্টাচাৰ্য্যের এ আশঙ্কা কদাপি যুক্ত হয় না। ভট্টাচাৰ্য্যের মতানুযায়ীদিগের প্রতি এ আশঙ্কার এক প্রকার সস্তাবনা আছে। যেহেতু, তাহারা জগৎকে শিবশক্তিময় অথবা বিষ্ণুময় কহেন। অতএব এরূপ জ্ঞান র্যাহারদিগের তঁাহারা খাস্তাখাদ্য ইত্যাদির প্রভেদ, চক্ৰে অথবা পঙ্গতে করেন না, এবং যে ব্যক্তি ধ্যানসময়ে ও পূজাতে যুগলের সাহিত্য সর্বদা স্মরণ করেন এবং যাহার বিশ্বাস এরূপ হয় যে, আমার আরাধ্য দেবতারা নানা প্রকার অগম্যাগমন করিয়াছেন, এবং ঐ সকল ইতিহাসের পাঠ শ্রবণ এবং মনন সৰ্ব্বদা করিয়া থাকেন, তাহার প্রতি এক প্রকার অগম্যাগমনাদির আশঙ্কা ইহঁতে পারে, কিন্তু যে ব্যক্তি এমত নিশ্চয় রাখে যে, বিধিনিষেধের কৰ্ত্তা বে পরমেশ্বর, তিনি সৰ্ব্বত্রব্যাপী, সৰ্ব্বদ্রষ্টা, সকলের শুভাশুভ কৰ্ম্মানুসারে ইথািথরূপ ফল দেন, সে ব্যক্তি ঐ সাক্ষাৎ বিদ্যমান পরমেশ্বরের ত্রাসপ্রযুক্ত, "গাঁহার কৃত নিয়মের রক্ষার নিমিত্ত যথাসাধ্য যত্ন অবশ্যই করিবেক ।” উদ্ধত অংশটির শেষাংশ পাঠ করিলে ইহা সুস্পষ্টরূপে বুঝা যায় যে, "ী রামমোহন রায়ের মতে, বৈদান্তিক অদ্বৈতবাদের মধ্যে মনুষ্যের দ্বিষ, পাপপুণ্য, ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম ও কর্তব্যাকৰ্ত্তব্যের নৈতিক ভিত্তি সুদৃঢ়ৰূপে