বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፃw মাণ্ডুকোপনিষদ । শ্রীতি। ওঁকারের তিন পাদ ব্যাখ্যা করা হইল। এখন চতুর্থ পাদের কথা শ্রবণ কর । মুমুক্ষু । বলুন। अङि । ‘‘न।त:प्रभूत’’’ ‘’न वहि:प्रज्ञ'” “नोभयत: प्रज्ञ “न प्रज्ञान वनं” “न प्रज्ञ” “नाप्रज्ञम्” । “নান্তঃ প্রজ্ঞং । ভিতরের বাসনাময় সূক্ষ জগৎ হইতেছে অন্তর রাজ্য । ভিতরের রাজ্য যিনি জানেন তিনি অন্তঃপ্রজ্ঞ-তৈজসপুরুষ । তুরীয় ব্রহ্ম যিনি তিনি তৈজস পুরুষ নহেন । * “ন বহিঃপ্রজ্ঞং” বাহিরের স্থল এই পরিদৃশ্যমান জগৎ যিনি জানেন তিনি বহিঃপ্রজ্ঞ বিশ্বপুরুষ। তুরীয় ব্রহ্ম যিনি তিনি বিশ্বপুরুষও নহেন। “নোভয়তঃ প্রজ্ঞং” এই পরিদৃশুমান স্থূল জগৎ এবং বাসনাময় সূক্ষ জগৎ যিনি জানেন তিনি উভয়তঃ প্রজ্ঞ। তুরীয় ব্রহ্ম যিনি তিনি ইহাও নহেন । ইহাতে জাগ্রং ও স্বপ্নের সন্ধিরূপ যে মধ্য অবস্থা তুরীয় সম্বন্ধে তাহারও নিষেধ করা হইল। “ন প্রজ্ঞানঘনং” ঘনপ্রজ্ঞ বলে তাহাকে যেখানে নানাপ্রকারের ভেদ থাকে না । যেমন রাত্রির অন্ধকারে ভিন্ন ভিন্ন বস্তুর ভেদ লক্ষ্য করা যায় না, সেইরূপ যে জ্ঞানে কোন কিছু ভেদ থাকে না, একটি মাত্র বস্তুর জ্ঞান থাকে—তাহাকেই বলে ঘনপ্রজ্ঞা । ভিতরের বাহিরের ভেদরহিত ঘনপ্রজ্ঞ যার আছে তিনি প্রজ্ঞানঘন। তুরীয় ব্রহ্ম যিনি, তিনি প্রজ্ঞানঘনও নহেন। ইহাতে তুরীয় ব্রহ্ম যে স্থপ্তপুরুষ নহেন তাহাই বলা হইল । “ন প্রজ্ঞং” প্রজ্ঞ বলে সর্বজ্ঞকে। তুরীয় ব্রহ্মকে সর্বজ্ঞও বলা যায় না। সর্বের জ্ঞান র্যাহার আছে তিনিই সর্বজ্ঞ। তুরীয় ব্রহ্মে সৰ্ব্ব বলিয়া কিছুই নাই। কাজেই এককালে সর্বববিষয়ের জ্ঞান তাহতে থাকিবে কিরূপে ?