পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b's মাগুক্যোপনিষদ। श्रांत्र “न हि विज्ञातु र्विज्ञातेर्विपरिलोपो विद्यते” । अङि दलिङছেন বিজ্ঞাত যিনি তার বিজ্ঞপ্তির লোপ কখন হয় না । সুপ্ত পুরুষের যে অনুভব থাকে তাহার প্রথম অবস্থা হইতেছে ‘আর কিছুই নাই”। যদি এই অনুভব না থাকিত তবে পুরুষ জাগ্রত হইয়া নিজের অবস্থা স্মরণে কিরূপে বলিবেন—বেশ ছিলাম, আর কিছুই ছিলনা ! এই যে বেশ ছিলাম আর কিছুই ছিল না—ইহা ত স্মৃতি মাত্র। কিন্তু যাহ অনুভব হয় না তাহ স্মৃতিতে আসিবে কিরূপে ? স্মরণ যাহা হয় তাহার মূলে পূর্বের একটা অনুভব থাকিবেই। তবেই হইল সুপ্ত পুরুষের ‘আর কিছুই নাই” এই অভাবসূচক অনুভব থাকে। আর কিছুই নাই যখন এই অনুভব হয়, তখন এই অভাব অনুভবের সঙ্গে সঙ্গে আর একটি বিষয়ের ও অনুভব হয় । সেটি হইতেছে “আমিই আছি”। আবার ‘আমিই আছি” ইহার পরের অবস্থাটি হইতেছে “আমিই সেই”। এ অবস্থাটিকে স্থিতি বলে। ইহাই তুরীয় ভাব । “আর কিছুই নাই” ইহার অনুভব যে সুপ্ত পুরুষ করেন, তিনি “আর কিছুই নাই” এই অনুভব করিয়া শূন্য হইয়া যান না। পরন্তু তিনিই “ভরিত চৈতন্য ।” “আমিই আছি” এইটি হইতেছে ভরিত চৈতন্তের আত্মানুভূতি। ইহার পরের অবস্থা হইতেছে পরোক্ষ জ্ঞানস্বরূপের অপরোক্ষানুভূতি । ইনিই তুরীয়, ইনিই স্থিতি, ইনিই জ্ঞানস্বরূপ, ইনিই আত্মা । যিনি আত্মানুভব করেন তিনিই শ্রুতির বিজ্ঞাতা । এই বিজ্ঞাতার যে বিজ্ঞপ্তি সেইটিই তুরীয় ব্রহ্ম। ইহার লোপ কিরূপে হইবে ? কাজেই এই তুরীয় ব্রহ্ম শূন্ত নহেন। তাই শ্রুতি বলিতেছেন—এই তুরীয় ব্রহ্ম “স্বজ্ঞস্” “মলালস্থাষ্ঠী “प्रग्राह्य” “प्रलचाणं” “श्रचिन्त्ध'” “श्रवयपदेश्य' “एकात्मप्रत्ययसारं’ ‘प्रपञ्चोपश्मं’ “शान्तं” “श्र्वि’ ‘‘श्रद्देतं” “चतुर्थे’ मन्यन्ते । सः प्रात्मा । स विज्ञेयः । - এই তুরীয় ব্রহ্ম চক্ষুরাদি ইন্দ্রিয়জ্ঞানের বিষয় নহেন বলিয়।