বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 8 || দিলে বেশ আনন্দ করা আরবিফলতা মুখে চলিলে হা হুতাশ করা, কেহ নিন্দ করিলে ক্রোধে অন্ধ হওয়া, আর স্তুতি করিলে বেশ লাগা এই সব ভবরোগের বিকার অবস্থা। আমি এত কাল ধরিয়া লোকের উপকার জন্য কতই করিলাম, মানুষ কি অকৃতজ্ঞ আমার কথা মত চলিল না ; এখন জরা আসিতেছে আর কদিনই বা বাচিব – আহা ! জগৎটাকে উন্নত করিয়া যাইতে পারিলাম না, জগতের সব দুঃখই রহিয়া গেল—এই সব দুঃখও ভবরোগের লক্ষণ । ভবরোগের কথায় তুমি ত সকল মানুষকেই আক্রমণ করিতেছ ? ই তাহা করিতেছি । আর বলিতেছি যাহার মন সর্বপ্রকার দুঃখ অতিক্রম করিতে না পারিয়াছে সে ভবরোগাতুর । কাজেই বলিতে হয় { সিদ্ধজনের কথা স্বতন্ত্র কিন্তু ঐ দুই চারি জন সাধক বাদে জগতের সকল মানুষই ভবরোগাতুর । । ভবরোগের কি প্রতীকীর আছে ? - আছে । মাতেব হিতকারিণী শ্রুতি দেবী সেই প্রতীকার দেখাইয়া দিতেছেন। এই মাণ্ডুক্য শ্রুতি প্রধান ভাবেই ভবরোগের ঔষধ । কিরূপে ? শ্রবণ কর । ভবরোগের প্রতীকার জন্য শ্রীতি বলেন— “प्रिात्मा बा प्ररे द्रष्टब्य: श्रोतव्यो मन्तव्यो निविद्यासित्य:’’ জগতে যে কোন দেশে যে কোন কালে যে কোন ব্যক্তি সাধন করে বা সাধনা করিয়াছিল বা সাধনা করিবে তাহা এই আত্মারই সাধন । এতদ্ভিন্ন অন্য কোন সাধনা নাই। জগতের সমস্ত সাধন এই আত্মার সাধনার অন্তভূর্ত । * বড় জোরের কথা বলা হইতেছে কি ? হ। যাহা সত্য তাহ জোরেরই কথা। বেশ করিয়া মিলাইয়া লও চৈতন্যই একমাত্র সাধনার বস্তু। আত্ম ভিন্ন চেতন আর কিছুই নাই। যাহাকে ঈশ্বর বল বা পরমেশ্বর বল বা অন্তর্যামী বল বা প্রণব বল বা সৰ্ব্বব্যাপী বল বা নিরাকার বল বা অবতার বল—এক কথায় সগুণ,