বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9 | ইহাও ত আশ্চৰ্য্য যে রোগাতুর মানুষ নিজে বুঝিতে পারে না যে, সে রোগীৰ্ত্ত। সকল মানুষই যে ভবরোগগ্রস্ত তাহারা ত ইহা স্বীকারই করে না । স্বীকার না করাই ত রোগের চিহ্ন। পাগল প্রায়শই বলিতে চায় না যে, সে পাগল। টাইফয়িডের রোগী, বিকার অবস্থায় পড়িয়া থাকে কিন্তু কেহ যদি জিজ্ঞাসা করে কেমন আছ তাহার, উত্তরও দেয়। বলে বেশ আছি । ইহা কিন্তু বিকারেই বলে। বিকার একটু যখন কাটতে আরম্ভ হয় তখন নিজের বিপদ বুঝতে পারে - যাহারা ভবরোগগ্রস্ত তাহদের বিকারও এতদূর প্রবল যে, তাহার বুঝিতেই পারেন তাহদের রোগ কি ? আচ্ছা রোগ ত মানুষকে আতুর করে। ভবরোগী আৰ্ত্ত কোথায় ? দেহের রোগ যখন হয় তখনও কিন্তু মানুষ একটানা যাতনা ভোগ করে না । সময়ে সময়ে ভালও থাকে । ভবরোগগ্রস্তেরও ইহা হয় । ঠিক বুঝিতে পারিতেছি না ভবরোগটা কি ? ‘মনের রোগই ভবরোগ। এই রোগের লক্ষণ হইতেছে ক্ষণে ক্ষণে মুনে সমূহত এই মনে করিতেছে বেশ আছে, পরক্ষণেই বলিবে কিছুই ভাল লাগে না । এই থাকিয়া থাকিয়া মন কেমন করা, এই সময়ে সময়ে কিছুই ভাল না লাগ ইহাই হইতেছে ভবরোগের প্রধান লক্ষণ। কিন্তু রোগের সামান্ত সামান্য লক্ষণও বহু আছে । কি সে সব ? সব বলিবার প্রয়োজন নাই। কোন প্রকার দুঃখ নে করে সেই রোগগ্রস্ত। নিরন্তর নূতন নূতন বিষয়ভোগেচ্ছ, অপ্রাপ্ত বস্তুর প্রাপ্তি জন্য ছটফট কর, ভবরোগের শান্তি জন্য কৰ্ম্ম না করিয়া য তা কৰ্ম্মে মনকে ডুবাইয়া রাখতে চেষ্টা কর, কৰ্ম্মটি মনের মত ফল