বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

I Se J তিন মাত্র বিশিষ্ট ষ্ট্র কারকে অবলম্বন করিলে ব্রহ্মলোক-প্রাপ্তি ঘটে। ব্রহ্মলোক প্রাপ্তির পরে ব্রহ্মার সহিত ওঁ-কার সাধক মুক্তিলাভ করেন। মাণ্ড ক্যশ্রীতি ইহাও বলিতেছেন যে, অমাত্রিক ওঁ-কারকে অবলম্বন করিতে পারিলে কিন্তু সদ্যেমুক্তি লাভ করা যায়। ত্রিমাত্রিক ও অমাত্রিক ও কার অবলম্বন করিতে হয় কিরূপে তাহ মূলশ্রুতিতে আলোচনা করা হইয়াছে। বৈদিক সন্ধ্য উপাসনা ওঁকার অবলম্বনেই উপাসনা ও কারকে বুঝাইবার জন্যই গায়ী—গায়ত্ৰী ওঁকারেরই বিস্তৃতি। আবার গায়ত্রী ধ্যানের জন্যই কুমারী, যুবতী, বৃদ্ধ মূৰ্ত্তির আশ্রয় আবখ্যক । , এই প্রকার উপাসনার জন্যই জ্ঞানপথ, যোগপথ ও ভক্তিপথ । জ্ঞান পথের সাধনা তত্ত্ববিচার, যোগপথের সাধন প্ৰণব-জ্যোতি অবলম্বন এবং ভক্তিপথের অবলম্বন মুক্তি ধরিয়া অনুরাগে ভজন । তত্ত্ববিচার সাধনার সঙ্গে সঙ্গে মনোনীশ ও বাসনাক্ষয় সমকালে করিতে হইবে । যোগপথে যে জ্যোতিৰ্ম্ময় প্রণব অবলম্বন করিতে হয়, সেখানে স্মরণ রাখিতে হইলে “প্রণবময় মরুৎ” । সকল সাধনাতেই অনুরাগে ভজন আবশ্যক। বিনা ভক্তিতে কখন জ্ঞান হইবেন । আবার যোগমার্গেও ভক্তি আবশ্যক। অবলম্বন ভিন্ন যখন নিরাকারের চিন্তাতে কোন ফল হয় না—তখন প্রণণ অবলম্বনই কর আর সাকার মূৰ্ত্তিই অবলম্বন কর–কথা একই। মূৰ্ত্তিপূজা বেদেরই বিধি। নতুবা শ্রুতি হৈমবতীর কথা উল্লেখই করিতেন না এবং বৈদিক সন্ধাতে গায়ত্রী জপের পূর্বে মূৰ্ত্তিধ্যান বা প্রাণায়ামে ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশের ধা্যানও থাকিত না । & নিরাকার পরমপদে স্থিতিলাভ জন্য ওঁ-কার জ্যোতি বা মূৰ্ত্তি অবলম্বনের কথা বলা হইল। তন্ত্রেও মহাদেব বলিতেছেন-- সাকারেণ মহেশানি । নিরাকারঞ্চ ভাবয়েও । s সাকারেণ বিনা দেবি ! নিরাকার" ন পশ্যতি ॥