[ بالا ] বারখানি উপনিষদের ভাষ্য করিয়াছেন বলিয়া যাহারা প্রাধান্য লাভ করিয়াছে তাহাতে (১) কোথাও ব্রহ্মনিরূপণ । (২) কোথাও ব্রহ্মজ্ঞান নিরূপণ । (৩) কোথাও ব্রহ্মজ্ঞানের সাধন বিবেক, বৈরাগ্য, গুরুভক্তি, সত্যসম্ভাষণ, ব্রহ্মচৰ্য্যাদির নিরূপণ আছে। (৪) কোথাও ব্রহ্মজ্ঞানের ফল জীবন্মুক্তির কথা আছে। (৫) কোথাও বা বিদেহমুক্তির কথা বলা হইয়াছে । - (8) উপনিষদ, কাহাকে বলে ? আখ কি ? অধিকারী কে ? ব্রহ্ম ও আত্মার অভেদত্ব প্রতিপাদক যে বিদ্যা তাহার নাম উপনিষদ, । “উপনিষীদতি প্রাপ্নোতি ব্ৰহ্মাত্মভাবোহনয়,” “যে বিদ্যা দ্বার ব্ৰহ্মকে আত্মভাবে পাওয়া যায় তাহাই উপনিষদ । অথবা “উপনিষীদতি শ্ৰেয়োস্তামিত্যুপনিষদ” । সদ, ধাতু বিশরণ গতি অবসাদন (নাশ) অর্থে ব্যবহৃত হয়। “উপ নি পূর্বস্ত সদেস্তদৰ্থাত্তাদর্থাদ গ্রন্থোইপুপনিষদুচ্যতে" শঙ্কর। উপ পূর্বক নি পূর্বক সদ, ধাতু কিপ, করিয়া উপনিষদ শব্দ নিম্পন্ন হইয়াছে। উপ - সমীপে ; নি = নিশ্চয় বা নিরন্তর ; সদ, ধাতু নিবৃত্তি অথবা প্রাপ্তি। তুমি অতি সমীপে (উপ) ইহা নিশ্চয় করিয়া দিয়া (নি) যে বিদ্যা সংসার সাদন (সদ) অর্থাৎ সংসার নিবৃত্তি করে তাহাই উপনিষদ ; অথবা মুমুক্ষের সমীপে নিশ্চয় পূর্বক অভেদ ভাবে ব্ৰহ্মকে প্রাপ্ত করে যে বিদ্যা তাহাই उं★निबन । “ब्रह्मप्राप्ती विरजोऽभूद्दिमृत्युः ” कर्छदल्ली । উপনিষদ কে ব্রহ্মবিদ্যা বলা হয়। ইহা বেদশীর্ষ ; শ্রীতিশির। “ব্রহ্মৈকাক্ষরমর্থ্যতাং শ্রুতিশিরোবাক্যং সমাকৰ্ণ্যতাম।” ভগবান শঙ্কর আবার বলিতেছেন “বাক্যার্থশ্চ বিচাৰ্য্যত্তাং শ্রীতিশির; পক্ষঃ সমাক্রয়তাম।” উপনিষদ যেমন ব্রহ্মকে নিকটে আনয়ন করেন, সেইরূপ অবিদ্যাদি ংসারবীজও ধ্বংস করেন। শঙ্কর বলেন—“সংসার নিবিবৃৎস্বভ্য: ংসার-হেতু-নিবৃত্তি সাধন ব্ৰহ্মাত্মৈকত্ববিদ্যা প্রতিপত্তয়ে। সেয়ং
