বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २७ ] বর্ণাশ্রম পালনরূপ তপস্যা দ্বারা যাহারা শ্ৰীহরিকে সন্তুষ্ট করিতেছেন—শ্ৰীভগবানের প্রীতি সাধন জন্য—শ্ৰীভগবানে অনুরাগ বৃদ্ধি জন্য যাহারা মগাপ্রাপ্ত জীবসেবায় ঈশ্বরসেবা হয় ভাবনা করিতে পারেন, সংসারের কায্যে ঈশ্বরসেবা করিতেছি মনে করিয়া সংসারের কুটিল ব্যবহার, সংসারের নিষ্ঠ রত, স্ত্রীপুত্ৰ কাদির অকৃতজ্ঞতা অক্ষুণ্ণ মনে সহ করিয়া যাইতেছেন ; আপন আপন বর্ণ ও আশ্রম মত কৰ্ম্ম যাহারা নিষ্কামভাবে করিয়া যাইতেছেন, তাহদেরই বিবেক, বৈরাগ্য, শম দমাদি ষট্‌দম্পত্তি এবং মুমুকুত্ব এই সাধনচতুষ্টয় লাভের ইচ্ছ। হয়। এই ইচ্ছা জন্মিলে তবে জ্ঞাননিষ্ঠা হয়, তখন প্রত্যহ উপনিষদ শ্রবণ ও মনন করিতে রুচি জন্মে। নতুবা উপনিষদাদি অধ্যাক্স গ্রন্থ, যোগদাশিষ্ঠ, গীত, অধ্যাহ্বারামায়ণ, শ্ৰীমদ্ভাগবত ইত্যাদি ব্রহ্মবিদ্যার গ্রন্থ একবার মাত্র পাঠ করিয়া যিনি মনে করেন “পাঠ ত করা হইয়াছে” শাস্ত্ৰ ভঁহাদিগকে নিতান্ত অধম বলেন । শাস্ত্র বলেন :– যস্তৃেকবারমালোক্য দৃষ্টমিত্যের সন্তজেৎ। ইদং স নাম শাস্ত্রেভ্যে ভস্মীপ্যাপ্নোতি নাধমঃ ॥ যে, নি, উ, ১৬৩৪৯ এই সমস্ত শাস্ত্র একবার দেখিয়াই “দেখা হইয়াছে” বলিয়া যাহার ত্যাগ করে, সেই সমস্ত অধম ব্যক্তি এই সমস্ত শাস্ত্র হইতে ভস্মও প্রাপ্ত হয় না । বর্ণাশ্রমধৰ্ম্মের ভিতর দিয়া না গেলে কি ব্ৰহ্মজ্ঞান হয় না ? শ্রুতিতে দেখা যায় রৈক্কবা ও চক্লবী প্রভৃতি অনাশ্রমা থাকিয়াও ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ করিয়াছিলেন । শ্রুতিতে এ দৃষ্টান্ত আছে, ইহা কিন্তু বিশেষ দৃষ্টান্ত। পূর্ব পূর্ব জন্মে র্যাহীদের কৰ্ম্ম করা থাকে, পরজন্মে একেবারেই তাহদের জ্ঞান নিষ্ঠায় রুচি হয়। র্যহাদের অহং অভিমান নাই, বিষয়ে রাগ দ্বেষ ঘ