বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ૭8 ] মুৰ্ত্তি। এই জন্য বলা হইতেছে ওনামক অক্ষরই এই জগদাকার ধারণ করিয়াছেন । সঙ্কল্প বিকল্পময়ী স্পন্দশক্তিটি কি ইহা বিচার করিলে স্পষ্টই অনুভব করা যায়—সঙ্কল্প ও বিকল্প যাহা তাহা কল্পনা বা মায়া মাত্র । ব্ৰহ্মই আছেন তাহার যে স্পন্দন কল্পনা কর ষায় তাহাও কল্পনা মাত্র । . ইহাই মায়া। ব্রহ্ম আত্মমায়া দ্বারা বহু নামরূপ যুক্ত এই জগৎরূপে বিবৰ্ত্তিত হয়েন। এই জন্য বলা হইতেছে ওনামক অক্ষরই জগৎরূপে ভাসিলেও মুলে কিন্তু ব্ৰহ্মই আছেন, আর.এই নাম রূপ বিশিষ্ট জগৎ একটা ইন্দ্রজাল । # রজুর উপরে যে সৰ্প ভাসে, তাহ মায়া বা অজ্ঞান বশে ; ইহ রজছুরই বিবৰ্ত্তন । রঙ্গুই সপর্যপে যেমন বিবৰ্ত্তিত হয়, সেইরূপ ব্ৰহ্মই আত্ম-মায়ায় জগৎরুপে বিবৰ্ত্তিত হয়েন মাত্র। ব্রহ্মকেই ভ্ৰম জ্ঞানে জগৎরূপে দেখা হয় । যদি বলা হয় এই ভ্ৰম জ্ঞান কার হয়—তাহার উত্তর এই যে ব্রহ্ম হইতে মহামন পৰ্য্যন্ত যে স্থঃি তাহাতেও দ্বৈত থাকে ন কারণ অহং অভিমান তখনও স্বস্ট হয় নাই। অভিমান হইলেই ভ্ৰমজ্ঞানের কার্য্য হয় । ব্ৰহ্মই সমস্ত বস্তুর অধিষ্ঠান চৈতন্য। এই অধিষ্ঠান চৈতন্তের উপরে আত্মমায়ায় জগৎ কল্পিত ; যেমন রজ্জ্বর উপরে অজ্ঞানে সর্প কল্পিত । "কল্পিত বস্তু অধিষ্ঠান হইতে ভিন্ন নহে । অজ্ঞান কল্পিত সপটি অধিষ্ঠান রঙ্গু হইতে ভিন্ন নহে। এই কারণে বলা হইল এই সমস্ত দৃশ্য প্রপঞ্চ ও নামক অক্ষর হইতে ভিন্ন নহে, পরস্তু ও অক্ষরই এই সমস্ত ; ওঁকার অধিষ্ঠান চৈতন্তের বাচক। যেমন শালগ্রামে বিষ্ণু মূৰ্ত্তি ভাবনা করিয়া দৃঢ়রপে ধ্যান করিলে শালগ্রাম আর শালগ্রাম থাকেন না, বিষ্ণুই হইয়া যান, সেইরূপে ওকার অক্ষরে ব্রহ্ম স্বরূপের ধ্যান করিলে ও কারও ব্রহ্মরূপই হইয়া যান । শক্তি ভিন্ন শক্তিমানের প্রকাশ যেমন আর কেহই করিতে পারেন,