বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t ७8७ J আদি ক্রীড়াই ও কার অক্ষর । ও-কার তবে পরম ব্রহ্মসাগরে অতি সূক্ষম শক্তি তরঙ্গ মাত্র। জলের তরঙ্গ মত বায়ুর তরঙ্গ আছে কিন্তু ব্ৰহ্মসাগরে মায়াতরঙ্গ অব্যক্তেরও পূর্বাবস্থা। কাজেই ও কারে ব্ৰহ্ম বর্তমান রহিলেন । ভগপান পতঞ্জলি মহাভাষে ললিতেছেন “বর্ণজ্ঞানং বাগ বিষয়ে যত্র চ ব্রহ্ম বৰ্ত্ততে” বর্ণজ্ঞান শাস্ত্রের বিষয় হইতেছে বাক। এই বর্ণ জ্ঞানে ব্রহ্ম আছেন। এই হেতু বলা হইতেছে ও-কার অক্ষর জ্ঞানে ব্রহ্মকে জানা যায় । যে স্পন্দশক্তি-মায়া, ব্রহ্মের সহিত এক হইয়াছিলেন ; সেই সঙ্কল্প বিকল্পময়ী স্পন্দশক্তিই যখন শব্দ বা বাক্য হইলেন ( সলিল সদৃশানি বাক্য পদানি ) (বাক্য আবার অক্ষর সমাম্বায় মাত্র ) তখন শব্দের সহিত বা অক্ষরের সহিত স্পন্দের একতা হইল । স্পন্দন আবার ব্রহ্মের সহিত এক ; শক্তি ও শক্তিমানে অভেদ বলিয়া জলে যে তরঙ্গ উঠে তাহা যেমন জল ভিন্ন অন্য কিছুই নহে, সেইরূপ পরম শান্ত জ্ঞানানন্দময় ব্রহ্মসাগরে যে সঙ্কল্প বিকল্পময়ী স্পন্দশক্তির তরঙ্গ উঠে তাহাও ব্ৰহ্ম ব্যতীত আর কিছুই নহে। এই জন্য ও নামক অক্ষরকে ব্ৰহ্ম বলা হইয়াছে। মূল তত্ত্ব এই যে ব্ৰহ্মই আছেন অন্য অন্য যাহা কিছু ব্যাখ্যা করা যায় তাহ মায়িক মাত্র । মায়া দ্বারা যে ব্রহ্মবিবৰ্ত্ত, ইহারও ক্রম আছে । মুমুক্ষু ও নামক অক্ষরই এই সমস্ত দৃশ্য প্রপঞ্চ —এখন ইহা বল । শ্রীতি। ব্রহ্মের উপরে শক্তির আদি ক্রীড়া মে ভাবে হয়-- শক্তির অভিব্যক্তি কালে প্রথমে যেরূপ কুণ্ডলাকারে স্পন্দনের গতি হয়, শক্তির পরবর্তী গতিও ঠিক ঐরুপ । পরব্রহ্মে সঙ্কল্প বিকল্পময়ী স্পন্দশক্তি যে আকারে নাচিয়াছিলেন অতিক্ষুদ্র পরমাণু মধ্যেও শক্তির গতি ঠিক ইেরূপ। বৃহৎ সপের গতিও যেমন, অতি ক্ষুদ্র সপের গতিও সেইরূপ। কুণ্ডলিনী একভাবেই সর্বত্র কার্য্য করেন। শক্তি হইতেই জগৎ—অব্যক্ত শক্তির ব্যক্তাবস্থাই কাৰ্য্য । জগৎ কৰ্ম্মেরই স্থল