বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাণ্ডুকোপনিষদ। 8& প্রাজ্ঞ পুরুষ সুষুপ্তিতে অভিমান করিয়া একীভূত প্রজ্ঞানঘন আনন্দময় আনন্দভুক্‌ চেতোমুখ যে হয়েন তাহা কিরূপ, তাহাই এখন বুঝিতে চেষ্টা কর । * মুমুক্ষু। বল। কিন্তু মা ! স্বপ্ন ও স্বযুপ্তিতে ত আমার করিবার সামর্থ্য কিছুই থাকে না। আমি যেন জড়ের মত অন্য কাহারও দ্বারা চালিত হই মাত্র। যদি কিছু করিতে হয় ত জাগ্ৰং ধরিয়াই করিতে হইবে । 2 শ্রুতি। নিশ্চয়ই। তুমি ব্যগ্র হইয়াছ। আচ্ছ সাধনার কথা আবার এখানে দিতেছি শ্রবণ কর । তুমি যখন জাগ্রত, তখন তোমার ইন্দ্রিয়গুলি ভোগ করিতেই ব্যস্ত। ইন্দ্রিয় বিষয় লইয়া যখন ক্রীড়া করে, তখনই জাগৎ অবস্থা। এই অবস্থাকে মানুষ অন্যরূপে পরিবর্তন করিতে পারে। স্কুল রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ ভোগ না করিয়া মানুষ ভাবনারাজ্যে গিয়া সূক্ষ বিষয় ভোগ করিতেও পারে। স্বপ্নে যাহা ভোগ হয়, তাহা সূক্ষম হইলেও অশুভ ভোগও হইতে পারে। ভোগত্যাগেই মানুষের স্বরূপবিশ্রান্তি হয়। ইহা একবারে মানুষ পারে না বলিয়া, মানুষ একবারে কৰ্ম্মত্যাগ করিতে পারেন। বলিয়া, একবারে কামনা ত্যাগ করিতে সমর্থ হয়না বলিয়া মানুষকে জাগ্রতের অভাব ভাবনারূপ শুভকামনা, শুভকৰ্ম্ম ইত্যাদি করিতে শিক্ষা দেওয়া হয়। শ্ৰীভগবানের কৰ্ম্ম যখন করে, শ্রীভগবানের নিকটে থাকিবার কামনা যখন করে, তখন মানুষের শুভকৰ্ম্ম, শুভকামনা হয় । ইহা হয় অন্তর-রাজ্যে, ইহা হয় ভাবনা-রাজ্যে। এ রাজ্যে বাহিরের ইন্দ্রিয়গুলিকে ঘুম পাড়াইয়া, বাসনা দ্বারা মনকে থাটাইতে হয় । প্রণবসাধনায় যিনি অকারকে উকারে লয় করিতে পারেন, তিনিই জগৎ অবস্থা হইতে স্বপ্নাবস্থায় গমন করিতে পারেন। এই পৰ্য্যন্ত উঠিতে পারিলে মানুষ স্বপ্নের উপরও কর্তৃত্ব করিতে পারে। ইহাকেও যখন স্থযুপ্তিতে আনিতে সমর্থ হয় অর্থাৎ সর্বভোগেচ্ছা ও সৰ্ব্বকামনা ত্যাগ যখন মানুষ করিতে পারে, তখন এক নূতন আনন্দময়