পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ヶ মাণ্ডুকোপনিষদ। সুষুপ্তিতে অভিমান করেন বলিয়া প্রাজ্ঞ পুরুষকে বলে স্বযুপ্তি স্থান । মুমুক্ষু । মা ! জাগ্ৰং স্বপ্ন ও সুষুপ্তি কোন বিষয়ে এক এবং কোন কোন বিষয়ে ভিন্ন তাঙ্গ ত বুঝিলাম। কিন্তু ইহা বুঝিয়া আমি মুক্তির পথে চলিতেছি কিরূপে ? শ্রুতি। কোথায় বদ্ধ ইহা না ধরিতে পারিলে মুক্ত হইবে কিরূপে ? জাগ্রৎ, স্বপ্ন, স্বযুপ্তি এই তিনটি মায়াকৃত বা মায়িক। যখন স্থল ভোগের বাসনা জাগে, তখন তুমি জাগ্রত; যখন সূক্ষ বাসনা মাত্র তোমার ভোগের বিষয়, তখন তুমি স্বপ্ন দেখিতেছ আর যখন কোন ভোগেচ্ছা থাকেন। কোন বাসনাও জাগেন তখন তুমি স্থপ্ত। সাধারণ জীবাত্মা এই তিন অবস্থায় মায়ার হস্তে ক্রীড়নকবৎ । এইটি জানিয়া “উদ্ধরেও আত্মনাত্মানং’ আহ্বা দ্বারা আত্মার উদ্ধার কর । মায়ার হস্ত হইতে আপনাকে উদ্ধার কবিবার যে কাৰ্য্য তাহাই মুমুক্ষুর সাধন । এই সাধনা করিতে পার যাহাতে তাহার কথা বলিতেছি । মুমুক্ষু। মা ! বুঝিতেছি যিনি জাগ্রৎ, স্বপ্ন ও স্বযুপ্তিতে অভিমান করেন--করিয়া বদ্ধমত হয়েন, সেই অহংকারবিমূঢ়াত্মা যখন আর অভিমান করেন না, তখনই তিনি মুক্ত। কোন কিছুতে অভিমান না করাই মুক্তি। অভিমান করিলে (১) জাগ্রৎ অভিমানী স্থূল বহিঃপ্রজ্ঞঃ--বাহা বিষয় অনুভব করেন। (২) স্বপ্নাভিমানী অন্তঃপ্রজ্ঞঃ– বাসনামাত্র অনুভব করেন। (৩) স্বযুপ্তাভিমানী একীভূতঃ প্রজ্ঞানঘন--নানাপ্রকারের বস্তু একাকারে অনুভূত হয় এবং নানাপ্রকারের জ্ঞান মিশ্রিতের ন্যায় থাকে । আবার—(১) জাগ্রৎ অভিমানী এবং (২) স্বপ্নাভিমানী সপ্তাঙ্গ এবং একোনবিংশতিমুখ। (৩) কিন্তু স্বযুপ্ত্যভিমানী কোন অঙ্গবিশিষ্ট নহেন, কিন্তু আনন্দময় ও কেবল চেতোমুখঃ। আবার—(১) জাগ্রৎ অভিমানী স্থলভুক্। (২) স্বপ্নাভিমানী প্রবিৰিক্ত বা সূক্ষভুক। (৩) স্বযুপ্তাভিমানী—আনন্দভুক।