বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| <> সব ছাড়িয়া তাপন স্বরূপে প্রবেশ করেন । তখন কোন ভোগেচ্ছা ও থাকে না কোন স্বপ্ন ও থাকে না । অবিদ্য বশে আত্মা এই স্থযুপ্তিতে আগমন করেন স্বরূপে প্রবেশ করিলেও পুরুষ আপনাকে আপনি অনুভব করিতে পারেন না। এই অবস্থায় চৈতন্য আত্মা প্রাজ্ঞ নামক জীব। _প্রশ্ন যে তুরীয় ব্রহ্মকে লক্ষ্য করিয়া বলা হইতেছে “পালে। শুন স্তুরীয়ঃ” ইনি জাগ্রও স্বপ্ন স্বযুপ্তি অভিমানী পুরুষ হইতে ত স্বতন্ত ? উত্তর। শ্রুতির উপদেশ স্মরণ—সেই উপদেশ পুনঃ পুনঃ মনন অভ্যাস তাহার পরে শ্রুতি প্রমাণ জনিত জ্ঞানে স্থিতি বা ধ্যান এই হইলে তবে তুরীয় আত্মার দর্শন হয়। যখন জাগ্রতের স্থূল দৃশ্য দর্শন থাকে না, স্বপ্নের সূক্ষ দৃশ্য দর্শন থাকে না, স্বযুপ্তির অজ্ঞান আচ্ছাদন থাকে না, গুণময়ী প্রকৃতি হইতে পুরুষ আপনাকে পৃথক করিয়া যখন অবস্থান করেন—যে মন লইয়া সাধন হইতেছিল সেই মন লবণপুত্তলিকার সমুদ্র মাপিতে গিয়া গলিয়া যাওয়ার মত যখন সেই সচ্চিদানন্দ চলনরহিত পরমপদ দেখিয়া দেখিয় তাহাতে ডুবিয়া তাহাই হইয়া যায়, দেখিতে দেখিতে “থির নয়ন জনুভূঙ্গ আকার মধু মাতল কিয়ে উড়ই ন পার”—শুধু “উড়ই ন পার” নয়, মন যখন আপন সত্ত্বা হারাইয়৷ সেই পরমপদের সত্তাকে নিজ সত্তা করিয়া স্থিতিলাভ করে তখনই তুরীয়রূপ পরমাত্মা স্বস্বরূপে বিশ্রাম করেন । ইহাবই কাছে কল্যাণ ভিক্ষা করা হইল ।